আসামে কারফিউ ভেঙে রাস্তায় জনতা, গুলিতে নিহত ৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১২ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৬:৫১| আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০১৯, ২১:২৩
অ- অ+

বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে ভারতের আসামে কারফিউ উপেক্ষা করে হাজার হাজার জনতা রাস্তায় বিক্ষোভ করছে। ইতিমধ্যে পুলিশের গুলিতে তিন আন্দোলনকারী নিহত হয়েছে। আর আহত হয়েছে পাঁচজন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের অনলাইন প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামের রাজধানী গুয়াহাটির লালুঙ গাঁও-তে বিক্ষোভ সামাল দিতে গিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় পুলিশের। পরে উত্তেজিত জনতাকে থামাতে গিয়ে গুলি চালাতে বাধ্য হয় পুলিশ। পাঁচজন গুলিবদ্ধ হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনজন মারা যায়।

বিতর্কিত নাগরিকত্ব বিল সংশোধনীর প্রতিবাদে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের রাজধানী গুয়াহাটিতে বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে কারফিউ জারি করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু কারফিউ অমান্য করে রাস্তায় নেমেছে হাজার হাজার জনতা।

বৃহস্পতিবার সকালে গুয়াহাটিতে কারফিউ ভেঙে রাস্তায় নেমে আসে হাজার হাজার জনতা। আসামের ছাত্র সংগঠন এএএসইউ ও কেএমএসএস রাস্তায় নেমে আসার জন্য লোকজনকে আহ্বান জানায়।

গত সোমবার দেশটির লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি পাস হয়। তারপর বুধবার বিলটি রাজ্যসভায়ও পাশ হয়। বিলে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করা অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দেয়ার কথা বলা হয়েছে।

বিল পাস হওয়ার পর পুরো রাজ্যে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে যায়। প্রতিবাদ চলতে থাকায় আসাম ও প্রতিবেশী ত্রিপুরায় সব ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। গুয়াহাটি ও ডিব্রুগড়গামী বহু ফ্লাইট বাতিল করা হয়।

আসামজুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদের মুখে বৃহস্পতিবার সকালে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে আসামের জনগণকে আশ্বস্ত করে টুইট করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

“আপনাদের অধিকার কেউ কেড়ে নিতে পারবে না,” টুইটে বলেন তিনি।

পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৫ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়। সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘ডিব্রুগড়ের লাহোওয়ালে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। তারা পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে সহায়তা করবে। শান্তি বজায় রাখতে বাহিনী এলাকায় ফ্ল্যাগ মার্চ করবে।’

এদিকে আন্দোলনকারীদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি উত্তর-পূর্বের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে বুঝিয়েছেন, এই বিল প্রায় গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতে প্রযোজ্য হবে না।

মঙ্গলবার ত্রিপুরা সরকার ৪৮ ঘণ্টার জন্য রাজ্যে মোবাইল ইন্টারনেট ও এসএমএস পরিষেবা বন্ধ করে দেয়। সেপাহিজালায় এক দু'মাসের অসুস্থ শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তা অবরোধ হলে শিশুটি মারা যায়।

আগরতলায় বহু বিক্ষোভকারীকে স্রোগান দিতে দেখা যায়। তারা দাবি জানায়, বিলকে তাদের রাজ্যে প্রযোজ্য করলে হবে না।

আসমের গুয়াহাটি সহ উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন জায়গার জনজীবন থমকে যায়, বিলের প্রতিবাদে উত্তর-পূর্বের ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে বনধ ডাকা হয়। মূল রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদে সামিল হন বিক্ষোভকারীরা, উত্তর-পূর্ব ফ্রন্টিয়ার রেলের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অবরোধ করার কারণে, বহু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যাঙ্ক, বাজার ইত্যাদি।

(ঢাকাটাইমস/১১ডিসেম্বর/আরআর)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
প্রেমের টানে মালয়েশিয়ার তরুণী বদলগাছীতে, বসলেন বিয়ের পিঁড়িতে
মুন্সীগঞ্জে বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল ২ বন্ধুর  
চুয়াডাঙ্গায় তেলবাহী ট্রাপচাপায় ৩ জন নিহত
ক্যাসিনোকাণ্ড অভিযানের নেপথ্য কাহিনী জানলে চমকে যাবেন আপনিও
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা