ফিরে দেখা এ আর রহমানের ১২ সৃষ্টি

বিনোদন ডেস্ক
 | প্রকাশিত : ০৬ জানুয়ারি ২০২০, ১৫:৪২
সংগীতের সবচেয়ে বড় পুরস্কার অ্যাকাডেমিক অ্যাওয়ার্ড (অস্কার) হাতে এ আর রহমান

ভারতের কিংবদন্তি সংগীত পরিচালক এ আর রহমান। তাকে ‘মাদ্রাজের মোজার্ট’ বলে ডাকা হয়। তামিল ভক্তরা তাকে ডাকে ‘মিউজিকের ঝড়’ বলে। আজ সেই সুর স¤্রাট পা দিলেন ৫৩ বছরে।

দীর্ঘ সংগীত জীবনে অনন্য কাজের জন্য তিনি দুটি আকাডেমি পুরস্কার (অস্কার), দুটি গ্র্যামি, একটি বাফটা পুরস্কার, ছয়টি জাতীয় পুরস্কার, একটি গোল্ডেন গ্লোব সম্মান এবং ১৫টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতেছেন।

এ আর রহমানের সংগীত সৃষ্টির পথে ভাষার ভেদাভেদ কখনও বাধা হয়ে দাড়াঁয়নি। হিন্দি, তামিল, তেলেগু, মালয়লাম, কন্নড়, ইংরেজি সব ভাষার ছবিতেই তার অবাধ যাতায়াত। মায়েস্ত্রোর জন্মদিনে ফিরে দেখা যাক হিন্দি ছবিতে তার অনন্য এক ডজন গান

রোজা (১৯৯২): হিন্দি ছবির দুনিয়ায় তার প্রথম কাজই প্রমাণ করে দিয়েছিল নবাগত এ আর রহমান লম্বা রেসের ঘোড়া। আজও সমান জনপ্রিয় এ ছবির প্রতিটি গান।

বম্বে (১৯৯৫): এ ছবির গানে সামাজিক ও ব্যক্তিগত টানাপোড়েনের সুর উঠে আসে এ আর রহমানের নোটেশনে। আজও এই ছবির গান মুগ্ধ করে শ্রোতাদের।

দিল সে (১৯৯৮): শাহরুখ খান, প্রীতি জিনতা ও মনিষা কৈরালা অভিনীত এ ছবির প্রতিটি গানই ছুঁয়ে গিয়েছিল দর্শকের মন। মুগ্ধ করেছিলেন রহমান। বিশেষ ভাবে মনে থেকে যায় দিল সে, এ আজনবি, সাতরঙ্গির মতো গানগুলো।

লগান (২০০১): আশুতোষ গোয়াড়িকর পরিচালিত এই পিরিয়ড ছবিতে মেঠো সুরে শ্রোতা ও দর্শকদের মুগ্ধ করেন এ আর রহমান।

যুবা (২০০৪): মণি রত্নমের সঙ্গে জুটি বেঁধে আবার সংগীত প্রেমীদের এক অনন্য অ্যালবাম উপহার দেন এ আর রহমান।

সাথিয়া (২০০২): ভালোবাসা বাঁধা পড়ে সুরের জালে। রানি মুখার্জি ও বিবেক ওবেরয় অভিনীত এই ছবির প্রতিটি গান ঢেউ তোলে প্রেমিক মনে।

রং দে বসন্তী (২০০৬): এক বিপ্লবের সুর ধরা পড়ে রহমানের নোটেশনে। খলবলি, পাঠশালার মতো গানের পাশাপাশি মন কেড়ে নেয় লুকাছুপি, রুবারু কিংবা খুন চলা।

দিল্লি ৬ (২০০৬): রাকেশ ওম প্রকাশ মেহরা পরিচালিত এই ছবির গানের পরতে পরতে ফুটে ওঠে পুরনো দিল্লির গন্ধ।

স্লাম ডগ মিলিওনেয়ার (২০০৮): জয় হো গানেই বিশ্ব জয় করলেন সুরের জাদুকর। এই গানের জন্যেই অস্কারের মঞ্চে স্বীকৃতি পেল তার অনন্য কীর্তি।

রকস্টার (২০১১): ইমতিয়াজ আলির এই ছবিতে এক অন্য রূপে পাওয়া যায় সংগীত পরিচালক এ আর রহমানকে। সৃষ্টি হল নাদান পরিন্দে কিংবা সাড্ডা হক-এর মতো মনে ঢেউ তোলা গান।

হাইওয়ে (২০১৪): এ আর রহমানের হাত ধরেই হিন্দি ছবিতে প্রথম গান গাইলেন আলিয়া ভাট। চরম জনপ্রিয়তা পায় মাহি ওয়ে, পটাখা গুড্ডি অথবা তু খুজার মতো গানগুলো।

তামাশা (২০১৫): পর্দায় দীপিকা পাডুকোন-রণবীর কাপুরের জাদু যেন আরও খানিকটা বেড়ে যায় এ আর রহমানের সুরের ছোঁয়া পেয়ে। প্রতিটি গানই হয়ে ওঠে শ্রোতাদের প্রিয়।

ঢাকাটাইমস/৬ জানুয়ারি/এএইচ

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :