ডোমিঙ্গোর সমালোচনায় ফিল্যান্ডার

নির্দিষ্ট সংখ্যক কৃষ্ণাঙ্গ খেলোয়াড়কে খেলানোর জন্য ২০১৫ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জোর করে তাকে একাদশে নেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেছেন দেশটির সদ্যে সাবেক পেসার ভারনন ফিল্যান্ডোর। তার দাবি- বিশশ্বকাপে একাদশ গড়া নিয়ে নিজেদের পরিকল্পনা সম্পর্কে অজ্ঞাত রাখতেন তৎকালীন কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো।
ডোমিঙ্গো এখন বাংলাদেশের প্রধান কোচের দায়িত্বে আছেন। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার এই কোচ এসময় প্রোটিয়াদেরও কোচ ছিলেন।
২০১৫ বিশ্বকাপে তার অধীনেই খেলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা, যদিও সেমিফাইনাল থেকে ফিরতে হয় খালি হাতে। নিউজিল্যান্ডের বিপেক্ষ সেই ম্যাচে চোট নিয়েই খেলতে হয়েছিল ফিল্যান্ডারকে, যদিও তিনি নিজেই এই অবস্থায় খেলতে চাননি।
অন্যদিকে ফিট ও ফর্মের তুঙ্গে থাকা সত্ত্বেও বাদ দেওয়া হয় কাইল অ্যাবটকে, যিনি জাতীয় দলে ব্রাত্য থাকার অভিমানে ২০১৭ সালে কোলপ্যাক চুক্তিতে নাম লেখান। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে টিম ম্যানেজম্যান্টের সিদ্ধান্তে অ্যাবটের সাথে সম্পর্ক খারাপ হয়ে গিয়েছিল বলেও দাবি করেছেন ফিল্যান্ডার।
বোর্ড ও টিম ম্যানেজমেন্টের প্রতি তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে সদ্য অবসর নেওয়া ফিল্যান্ডার বলেন, ‘আমি সরাসরি কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোকে বলেছিলাম- সেরা খেলোয়াড়েরই এই ম্যাচে খেলা উচিত। কিন্তু সে বলল তুমিই আজকের সেরা খেলোয়াড়, তুমিই খেলছ।’
ফিট না হয়েও ফিল্যান্ডারের খেরা আর ফর্মে থেকেও অ্যাবটের একাদশে না থাকার ঘটনা দুই খেলোয়াড়ের সম্পর্ক নষ্ট করে দেয়। অথচ শ্বেতাঙ্গ হওয়ায় অ্যাবটকে টিম ম্যানেজমেন্ট একাদশের বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
ফিল্যান্ডার বলেন, ‘এটা পরিষ্কার- তারা এ ব্যাপারে আমার এবং কাইলের সঙ্গে কথা বলেনি। অবশ্যই দরজার আড়ালে অন্য কিছু হচ্ছিল। যা হয়েছিল সেটা আমাদের সম্পর্ক খারাপ করে দিয়েছিল।’
(ঢাকাটাইমস/০৯ ফেব্রুয়ারি/এআইএ)

মন্তব্য করুন