বইয়ের মান নির্ধারণে নীতিমালা হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২০:৫৭| আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২১:৩৫
অ- অ+

আগামীবার থেকে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় বই চরিত্র বদলে যাবে বলে জানিয়েছেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। তিনি বলেছেন, আগামীবার থেকে মানহীন বই ঠেকাতে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। বইয়ের মানদণ্ড নির্ধারণে নীতিমালা করা হবে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমির শহীদ মুনীর চৌধুরী সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে গ্রন্থমেলার সামগ্রিক অবস্থা তুলে ধরেন মহাপরিচালক।

হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, ‘মানহীন বই প্রকাশের বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে বাংলা একাডেমি। ২০২১ সালে অমর একুশে গ্রন্থমেলার আগে বইয়ের মানদন্ড নির্ধারণে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। মেলার অনেক ঘাটতি পূরণ হয়ে গেছে। এবার ভাল বই আনতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘মেলা শেষে তথ্যকেন্দ্রের তালিকার সঙ্গে প্রত্যেক প্রকাশনীর নতুন বইয়ের তালিকা (ক্যাটালগ) মিলিয়ে দেখা হবে। যেসব বই তথ্যকেন্দ্রে জমা দেওয়া হয়নি, সেগুলোর ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

পাইরেটেড, ভুলেভরা ও নিম্নমানের বই ইস্যুতে সংশ্লিষ্ট প্রকাশনা সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে অন্যরা এসে তদবির করে বলেও জানান তিনি।

প্রকাশকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘এটা বইয়ের এবং বইপ্রেমীদের মেলা। তাদের বুঝতে হবে এটা প্রকাশকদের মেলা নয়। এ মেলায় কখনোই বাণিজ্যিক মনোভাব ছিল না। ভাল বই নিয়ে আসেন, বইয়ের সংখ্যা কম হলেও তাদের সুযোগ দেওয়া হবে।’

নান্দনিক মেলা আয়োজনে এবার অন্যতম আকর্ষণ ‘বঙ্গবন্ধু পাঠ’। এখানে বঙ্গবন্ধুর লেখা বইগুলো উন্মুক্ত, চাইলে যে কেউই এখানে বসে পাঠ করতে পারবেন। তবে সংরক্ষিত জায়গাটি পাঠকের বদলে দর্শনার্থীতে ভরে থাকে বেশিরভাগ সময়।

এ প্রসঙ্গে স্থপতি এনামুল করিম নির্ঝর বলেন, ‘এটি একেবারেই নতুন বিষয়। রাতারাতি আসলে কিছু হয় না। মূলত বঙ্গবন্ধুকে পরিপ্রেক্ষিত করে গড়ে তোলা মেলাপ্রাঙ্গণে এটি ছিল খুবই মর্যাদাপূর্ণ বিষয়। তবে দুঃখজনক হলো, এটি এখন সেলফি-জোন হয়ে গেছে।’

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ঘিরে শতগ্রন্থের অংশ হিসেবে গতকাল পর্যন্ত ১৮টি নতুন গ্রন্থ প্রকাশ পেয়েছে। এর মধ্যে জাতির পিতার লেখা তৃতীয় গ্রন্থ ‘আমার দেখা নয়াচীন’ ঘিরে পাঠকের ব্যাপক উদ্দীপনা দেখা গেছে। ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলা একাডেমির নিজস্ব বিক্রয় এক কোটি নয় লাখ ৭৯ হাজার ৭৩১ টাকা ৫০ পয়সা।

মেলায় শিশুবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে তৎপরতার কথা জানিয়ে বাংলা একাডেমির পরিচালক ও মেলা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ বলেন, 'শিশু-কিশোরদের মাঝেই লুকিয়ে আছে আগামীদিনের নিবিষ্ট পাঠক। আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন ও সংগীত প্রতিযোগিতায় শিশু-কিশোরদের প্রাণোচ্ছল উপস্থিতি ছিল। ২২ ফেব্রুয়ারি প্রতিযোগিতার ফল প্রদান হবে।'

উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির ভারপ্রাপ্ত সচিব ও পরিচালক অপরেশ কুমার ব্যানার্জীসহ সংশ্লিষ্ট অনেকে।

(ঢাকাটাইমস/১৮ফেব্রুয়ারি/টিএটি/ডিএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
মাধবপুরে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু 
আন্দোলনকে যারা বিতর্কিত করতে চায়, তারা ফ্যাসিবাদকে উসকে দিচ্ছে: টুকু
ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবনী কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে রূপালী ব্যাংকের প্রথম স্থান অর্জন
স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সঙ্গে বামা’র প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা