বইমেলায় বিরহের সুর, পর্দা নামছে কাল

আসাদুজ্জামান, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২২:২৩
অ- অ+

দেখতে দেখতে শেষ হয়ে এল ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। সেই সঙ্গে বিদায়-বিরহের সুর প্রাণের মেলা বইমেলায়। সোহরাওয়ার্দী ময়দানে কিংবা বাংলা একাডেমির চত্বরজুড়ে রবিবার থেকে জ্বলে উঠবে না সারি সারি বইয়ের কুটির। শনিবারই দিন শেষে পর্দা নামছে এবারের আসরের।

এবারের বইমেলা একটা তৃপ্তি নিয়েই শেষ হচ্ছে বলা যায়। অন্যবারের চেয়ে এবারের বইমেলার আয়োজনে ছিল বৈচিত্র্য-ভরা। সুপরিসর, নান্দনিক এবং গোছানো। বড় পরিসরে স্টল ও প্যাভেলিয়ন সাজানো হয়েছিল সোহরাওয়ার্দী ও একাডেমি চত্বর। ফলে মেলায় আসা ক্রেতা-দর্শনার্থীরা স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরেফিরে বই কিনেছেন। উপভোগ করেছেন মেলা। কবি-সাহিত্যিকরা মেতেছিলেন সাহিত্য আড্ডায়।

আজ ছিল বইমেলার শেষ শুক্রবার। মেলা শুরু হয় বেলা ১১টায়। দুপুর ১টা পর্যন্ত ছিল শিশুপ্রহর। এই সময়টাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যা্েনর শিশুচত্বরে হালুম, ইকরি আর শিকুদের দেখতে শিশু-কিশোরদের উচ্ছ্বাসের জোয়ার লেগেছিল। দুপুর একটা থেকে তিনটা পর্যন্ত মেলায় লোকসমাগম কিছুটা কম ছিল। জুমার নামাজ ও মধ্য্হ্নাভোজে ব্যস্ত ছিলেন বইয়ের ক্রেতারা।

সূর্য মাঝ আকাশ ছাড়িয়ে পশ্চিমে হেলিয়ে পড়তেই মানুষের ঢল নামে মেলায়। বিকেল নাগাদ মেলা টইটম্বুর। সন্ধ্যায় বইমেলা যেন লোকে লোকারণ্য হয়েছিল। ভিড় ছিল মেলার শেষ অবধি।

শুক্রবারে মেলায় বিক্রিও হয়েছে আশানুরূপ। ক্রেতাদের সামলে বিক্রয়কর্মীদের দম ফেলার ফুসরত ছিল না।

বাবুই প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী কাদের বাবু ঢাকা টাইমসকে বলেন, এবারই প্রথম মেলায় অনেকটা জায়গা নিয়ে আকর্ষণীয়ভাবে শিশুচত্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সাজানো হয়েছিল। ফলে বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে শিশু-কিশোররা আনন্দে মেতেছিল।

উদীচীর প্রকাশনা সম্পাদক রহমান মুফিজ বলেন, এবারের মেলায় তরুণদের বই আশানুরূপ বিক্রি হয়েছে।

একই কথা বললেন কবি গিরীশ গৈরিক। তিনি বলেন, তরুণদের ভাবনা জানতে এবং সমকালীন সাহিত্য সম্পর্কে মানুষ তরুণদের লেখা পড়ছেন। তাদের সাদরে গ্রহণ করেছে। এদিকে আজ মেলায় ক্রেতাসমাগম যেমন ছিল, তেমনি বিক্রিও হয়েছে ভালো। খুশি প্রকাশকরাও।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুই হাতে বইয়ের ব্যাগ নিয়ে এক স্টল থেকে আরেক স্টলে ঘুরছিলেন তাহমিদ। ঢাকা টাইমসের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘মেলা থেকে বই কেনার জন্য সিরাজগঞ্জ থেকে রাতের ট্রেনে ঢাকায় এসেছি। সারা বছর পড়ার জন্য বইগুলো মেলা থেকে সংগ্রহ করব।’

ছুটির দিন তাই অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে মেলায় এসেছেন। এদেরই একজন ইশতিয়াল আলম। তিনি বলেন, ‘স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে মেলায় এসেছি। ওদের জন্য বই কিনবে।’

বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করে বইমেলা শুরু হয়েছিল ২ ফেব্রুয়ারি। এদিন মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার শেষ দিন বইমেলার দ্বার খুলবে সকাল ১১টায়। দুপুর একটা পর্যন্ত চলবে শিশুপ্রহর। মেলার পর্দা নামবে রাত নয়টায়।

(ঢাকাটাইমস/২৮ফেব্রুয়ারি/মোআ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
জামালপুরে সীমান্ত দিয়ে নারীসহ ৭ জনকে পুশইন করল বিএসএফ
যেকোনো বৈরী পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি প্রস্তুত: মহাপরিচালক
শ্রীমঙ্গলে সেপটিক ট্যাংকে নেমে ৪ তরুণের মৃত্যু
প্রথম প্রেমের স্পর্শ: পর্ব ১৩- আলোর চোখে দ্বিতীয় প্রেমের যাত্রা
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা