করোনাভাইরাসের প্রভাব

বিমা এজেন্টেদের জন্য প্রণোদনা ঘোষণা করা হোক: নুরুজ্জামান

রহমান আজিজ, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ৩১ মার্চ ২০২০, ১৪:০৬| আপডেট : ৩১ মার্চ ২০২০, ১৪:৫২
অ- অ+

করোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়ছে দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে। থমকে গেছে দেশের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক সকল কার্যক্রম। টানা ১০ দিনের ছুটিতে রয়েছে দেশের সরকারি-বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠান। দেশের কিছু কিছু এলাকায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। লোকজন ঘর থেকে বের হচ্ছে না। এর প্রভাব পড়েছে দেশের বিমা শিল্পেও। প্রিমিয়াম আয় যেমন কমেছে তেমনি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে দেশের কমিশন ভিত্তিক বিমা এজেন্টরা।

গতকাল সোমবার ঢাকা টাইমসের সাথে আলাপকালে এসব কথা জানিয়েছেন জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম নুরুজ্জামান।

তিনি বলেন, আমাদের প্রিমিয়াম আয়ের অন্যতম মাধ্যম বিমা শ্রমিক অর্থাৎ কমিশন ভিত্তিক এজেন্টরা। তারা অধিকাংশই নিন্ম-মধ্যবিত্ত পরিবারের। বিমা গ্রাহক তৈরি এবং তাদের কাছ থেকে প্রিমিয়াম আদায়ের মাধ্যমে বিমা কোম্পানি থেকে তারা যে কমিশন পান তাতে তাদের সংসার চলে।

নুরুজ্জামান বলেন, করোনার আতঙ্কে মার্চ মাসে তাদের নতুন গ্রাহক তৈরি এবং আদায় ভাল হয়নি। এরই মধ্যে টানা ১০ দিনের ছুটিতে কেউ বাসা থেকে বের হচ্ছেন না। ফলে প্রিমিয়াম আদায়ও হচ্ছে না। ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি থাকলেও এর মেয়াদ আরো বাড়বে কি না কেউ যানে না। যদি বাড়ে তবে কমিশন এজেন্টরা আর্থিক কষ্টের মধ্যে পড়বে। বেশ কয়েক মাস ধরে তারা প্রিমিয়াম আদায় করতে পারবে না। ফলে কমিশন আয়ও তাদের হবে না। তাদের জীবনযাপন ব্যয় কষ্টস্বাধ্য হয়ে পড়বে। এজন্য সরকারের কাছে আমার অনুরোধ বিমা শ্রমিকদের জন্য প্রণোদনা তহবিল ঘোষণা করা হোক।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিমা শিল্পে কি ধরণের প্রভাব পড়ছে জানতে চাইলে তিনি জানান, অফিস আদালত বন্ধ। আমাদের কর্মী থেকে শুরু করে শীর্ষ কর্মকর্তা পর্যন্ত সবাই বাসায় অবস্থান করছে। একারণে প্রতিষ্ঠানের ইনকাম কমে যাচ্ছে। অবশ্য অফিস ভাড়া থেকে শুরু করে কর্মকর্তারাদের বেতন আমাদের ঠিকই দিতে হবে। ফলে এ শিল্প বিকাশ বাধাগ্রস্থ হবে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের অনলাইন কার্যক্রম চালু আছে। কিন্তু সেখানে গ্রাহকদের তেমন সাড়া পাচ্ছি না।

ভারতে ইতোমধ্যে করোনা ভাইরাসের উপর লাইফ বিমা সাপোর্ট নামে একটি প্রোডাক্ট চালু করেছে সেদেশের সরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদেরও এটা করা যেতে পারে। এজন্য সরকারের পাশাপাশি বিমা নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইডিআরএ কে এগিয়ে আসতে হবে। করোনা নিয়ে নতুন প্রোডাক্ট চালু করা যেতে পারে।

এই ক্লান্তিকালীন সময়ে সাধারণ বিমা কার্যক্রম চলবে না। যদি করোনায় কেউ আক্রান্ত হলে বা মারা গেলে বিমা দাবি পাবে এমন একটি কার্যক্রম চালু করা যায় তবে, মানুষও উপকৃত হবে আবার বিমা কোম্পানিও লাভবান হবে।

বন্ধের মধ্যে কিভাবে সম্ভব জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই সম্ভব। কারণ সচেতনরা এগিয়ে আসবেন। আমাদেরসহ অধিকাংশ বিমা কোম্পানির অনলাইন কার্যক্রম চালু। তাছাড়া স্বল্প পরিসরে ও ব্যাংক চালু আছে। সুতরাং করোনা প্রোডাক্ট চালু করা যেতে পারে।

(ঢাকাটাইমস/৩০মার্চ/আরএ/ডিএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
গোপালগঞ্জে বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ৩
কাকরাইল মোড়ে জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা, দুপুরে গণঅনশন
সহকর্মীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার, ক্ষমা চাইলেন অভিনেতা শামীম হাসান সরকার
কমিউনিটি ব্যাংক-অ্যাভিনিউ হোটেল অ্যান্ড স্যুইটস ও পিটাস্টপের সঙ্গে চুক্তি 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা