চঞ্চলকে খুব বেশি অনুভব করছেন শাহনাজ খুশি
মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সবাই গৃহবন্দি। যাদের সঙ্গে দেখা না হলে, কথা না হলে দিনটাই যেন মাটি হয়, সেই আপজনদের সঙ্গে দেখা হয় না বহুদিন। কাজের ক্ষেত্রে অথবা প্রয়োজনে যাদের সঙ্গে পথচলা, তাদের সঙ্গে বহুদিন দেখা না হলে কেমন অনুভূতি হয়। সে কথা ফেসবুকে লিখেছেন অভিনয়শিল্পী শাহনাজ খুশি।
তিনি লিখেছেন, ‘৪৫ দিনের বেশি সময় পরে চঞ্চলের সাথে দেখা হলো। কবে/কখন এ আসা যাওয়া শুরু হয়েছিল, সে দিন, তারিখ ঢেকে গেছে একসাথে দীর্ঘদিন পথচলার উৎসবের শব্দে! এতগুলো বছরে দেখা হয়নি কবে, এটাই খুব কষ্ট করে মনে করতে হবে!’
‘আমার ধারণা,পরিচিত বন্ধুরাও হয়ত বিশ্বাস করছে না যে, চঞ্চল এতদিন আসেনি আমার বাসায়! আমার ছেলেদের O-level/ A-level exam এর সময় খুব বিনীত ভাবে বুঝিয়ে বলেছিলাম, দেখ চঞ্চল, ওদের পরীক্ষাটা জীবনের একটা টার্নিং পয়েন্ট, প্লিজ এ সময় কয়েকটা দিন আসিস না!’
‘সব অনুরোধের উপর দিয়ে আস্তে আস্তে হেঁটে এসে ঢুকে পড়েছে। বলেছে, বন্ধু, কথা বলবো না, চুপ করে কিছুক্ষণ থেকে চলে যাবো, না আসলে ভালো লাগে না!’
‘এত বছরের অলিখিত নানান নিয়ম/বন্ধন/মায়া সব এক তুড়িতে মুছে দিয়ে ঘরবন্দী করেছে করোনা! মানসিক নানান সম্পর্কের বন্ধনগুলোতে মরিচা ফেলেছে। চঞ্চল কয়েক মিনিটের মধ্যে বাইরে থেকে চলে যাবার পর আমরা চারজনই এক জায়গায় ঠাঁই দাঁড়িয়ে ছিলাম, চুপচাপ!’
‘যেন তাকিয়ে আছি দীপান্তরে ফেলে রেখে যাওয়া জাহাজের রেখার দিকে! কেউ কাউকে দেখছিলাম না, কিন্তু বুঝতে পারছিলাম সবটা! আমরা শুধু মনে মনে অপেক্ষা করছি, দিন গুনছি, সাবলিল লোকালয়ে ফেরার!’
‘যৌক্তিক/অনাহুত সব সম্পর্কগুলো বুকের ভেতর জাপটে ধরে, বুক ভরে নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য।’
ঢাকাটাইমস/৪মে/এসকেএস