প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে বৃত্তির টাকা দিলো ভাই-বোন

ইশরাক তরফদার রিজন ও তার ছোট বোন মিথিলা তরফদার রিহা। বৃত্তির টাকা খরচ না করে তা জমিয়েছে। চলমান করোনাভাইরাসের পরিস্থিতিতে সেই বৃত্তির টাকা প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে জমা দিয়ে মানবতার এক অন্যান্য দৃষ্টান্ত দেখাল শিক্ষার্থী এই দুই ভাই-বোন।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় টাঙ্গাইল সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলামের কাছে তাদের জমানো ১৩ হাজার ৪০০ টাকা তুলে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসকের স্টাফ অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল-মামুন।
দুই মেধাবী শিক্ষার্থী রিজন ও মিথিলা টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সাহিনুল ইসলাম তরফদারের ছেলে ও মেয়ে। রিজন ও মিথিলার মা আরিফা খাতুন পশ্চিম ভূঞাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
রিজন টাঙ্গাইলের কাগমারী সরকারি এম এম আলী কলেজের ইংরেজি অনার্স বিভাগের ছাত্র ও তার ছোট বোন মিথিলা ভূঞাপুর পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে রিজন তার অষ্টম শ্রেণির বৃত্তির চার হাজার ৮০০ টাকা ও বিএনসিসির পাঁচ হাজার টাকা এবং ছোট বোন মিথিলা পঞ্চম শ্রেণির বৃত্তির তিন হাজার ৬০০ টাকা দেয়।
রিজন ও মিথিলা বলে, প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন অসহায়-দরিদ্রদের পাশে দাঁড়াতে। তাই আমরা দুই ভাইবোন নিজেদের বৃত্তির টাকা খরচ না করে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে নগদ ১৩ হাজার ৪০০ টাকা জমা দিয়েছি। আর এই টাকা জমা দিতে পেরে আমার গর্বিত। এছাড়াও ত্রাণ তহবিলে টাকা জমা দেয়ার সুযোগ পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।
তারা বলে, বিত্তবান যারা আছি সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কর্মহীন ও হতদরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করছি।
রিজন ও মিথিলার বাবা সাহিনুল ইসলাম তরফদার বাদল বলেন, ছেলে-মেয়ের বৃত্তির অল্প অল্প টাকা খরচ না করে তা প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দেয়ায় আমি বাবা হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। বিত্তবান প্রত্যেককে এই দুর্যোগ সময়ে অসহায় মানুষের পাশে এগিয়ে আসা উচিত।
(ঢাকাটাইমস/২১মে/কেএম)

মন্তব্য করুন