আত্মঘাতী হতে চেয়েছিলেন পার্নোও

বিনোদন ডেস্ক
  প্রকাশিত : ১৬ জুন ২০২০, ১০:৩০
অ- অ+

রবিবার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বলিউডের এই সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত। ফরেনসিক প্রতিবেদনেও তার মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অভিনেতার এমন অপ্রত্যাশিত বিদায়ের একদিন বাদে টলিউড অভিনেত্রী পার্নো মিত্র জানালেন, সুশান্তের পথের পথিক তিনিও হতে চেয়েছিলেন।

সোমবার রাতে ইনস্টাগ্রামে দেয়া স্ট্যাটাসে পার্নো লেখেন, ‘বেঁচে থাকার সব দরজা যখন বন্ধ হয়ে যায়, মুছে যায় শেষ আশাটুকুও, তখনই মানুষ চরম সিদ্ধান্ত নেয়। আমি নিজেও এমন অবস্থার মধ্য দিয়ে গেছি। গত দেড় বছর ধরে টানা ওষুধ খাচ্ছি আমিও! এই কথাগুলো লিখতে গিয়ে বার বার যন্ত্রণায় বুজে আসছে আমার গলা।’

অভিনেত্রী বলেন, ‘সুশান্তের ব্যথা আমি অন্তর দিয়ে উপলব্ধি করতে পারছি। একটা সময় আমিও ওঁর মতোই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, আত্মহত্যা করব। অনেক বার গুগল সার্চ করেছি, সুইসাইডের উপায় জানতে। যেহেতু আমার দিকে পরিবারের অনেকগুলো মুখ তাকিয়ে, তাই একটা সময় কাজের পরে কাজ করে যেতে হয়েছে, এখনও করছি। সমস্ত যন্ত্রণা দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করছি। এই যন্ত্রণা কিছু শব্দ বা বাক্য দিয়ে বোঝানোর নয়। এই ব্যথা উপলব্ধি করতে হয় মনের গভীর থেকে।’

‘কেন এত যন্ত্রণা আমার? কেনই বা সুশান্তের নেয়া পথই বেছে নিতে চেয়েছিলাম আমি? আমার বাবা ছিলেন হোমিওপ্যাথ। তার কাছে বহু মানুষ আসতেন তাদের মানসিক অবসাদ নিয়ে। এর থেকে মুক্তির পথ খুঁজতে চাইতেন। আমার মনে পড়ছে, অনেকে এসে বলতেন, ‘আমার শরীর খারাপ, মনও খারাপ। তাই বলে ভাববেন না আমি পাগল। আমাকে ভালো করে দিন।’

‘আমি ছিলাম বাবা অন্ত প্রাণ। বাবা ছাড়া কিছু বুঝতাম না। সেই বাবা একদিন আমাদের সকলকে ছেড়ে চলে গেলেন। যে মানুষটাকে ছাড়া কিছু ভাবতে পারতাম না, সেই মানুষটাকে ছেড়ে বাঁচব কী করে- এই ভাবনা কুড়ে কুড়ে খেত। তার সঙ্গে জুড়ে গেল আরও কিছু ব্যক্তিগত সমস্যা। গভীর অবসাদে ডুবে যেতে লাগলাম আমি। বার বার মনে হত, আমি ওয়ার্থলেস। আমার কোনও প্রয়োজন নেই বেঁচে থাকার।’

গত দেড় বছর ধরে আমি এই অবস্থার ভেতর দিয়ে গেছি। এখনও পুরোপুরি বেরিয়ে আসতে পারিনি। এখনও নিয়ম করে ওষুধ খেতে হয়। সেই সময় পাশে পেয়েছিলাম বাড়ির লোকদের। তারা আমাকে বুঝতে পেরেছিলেন।

যদিও শুধু বাড়ির লোকের মাধ্যমে অবসাদ কাটানো যায় না। অবসাদ একটি অসুখ। অবসাদ কাটাতে অবশ্যই ডাক্তার বা থেরাপিস্টের কাছেই যেতে হবে। যারা অবসাদে ভুগছেন, তারা কিন্তু তা লুকিয়ে রাখবেন না বা লজ্জা পাবেন না। এমনকি, সামান্য স্ট্রেসড হলেও থেরাপিস্টের কাছে যান। ওদের কারণেই কিন্তু আমি এখন অনেকটাই রিল্যাক্সড।’

কিন্তু সুশান্ত শেষমেশ পারলেন না। কাজেই তার মতো বা তার থেকেও খারাপ মানসিক অবস্থায় যারা আছেন, এই অবস্থা পেরিয়ে বেরোতেই হবে তাদের। বেরোতে হবে তার নিজের জন্য, পরিবারের জন্য, কাজের জন্য এবং সমাজের আরও অসংখ্য মানুষের মনে ভরসা জাগানোর জন্য।’

ঢাকাটাইমস/১৬জুন/এএইচ

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ওপারে কারফিউ, সুনামগঞ্জের ১২ কিলোমিটার সীমান্তে বিজিবির সতর্ক অবস্থান
খালিশপুরে শহীদ মিনারের জমি দখলের ভিডিও করায় সাংবাদিকদের ওপর হামলা
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ঘোষণায় শাহবাগে ছাত্র-জনতার উল্লাস
৩০ কার্যদিবসের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের সিদ্ধান্ত
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা