মানবপাচার প্রতিবেদনে উন্নতিতে মন্ত্রী ইমরানের সন্তোষ

সদ্য প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের মানবপাচার প্রতিবেদনে বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্তরে উন্নীত হওয়াতে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের মানবপাচার প্রতিবেদনে বাংলাদেশের উন্নতি নিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এই প্রতিক্রিয়া জানান।
প্রবাসী কলাণমন্ত্রী বলেন, ‘মানবপাচারের বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্ব আর সময়োচিত নির্দেশনার কারণেই বাংলাদেশের এই অর্জন সাধিত হয়েছে। অবৈধ কার্যকলাপের জন্য রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল, নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ে সরকারের দেশব্যাপী প্রচারণা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা এই অর্জনে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।’
মানবপাচারের মতো জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান জিরো টলারেন্স জানিয়ে ইমরান আহমদ বলেন, ‘প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্নসংস্থা এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী, অভিবাসনের সাথে যুক্ত সিভিল সোসাইটি ও গণমাধ্যমসহ সকল অংশীজনের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের ফলে বাংলাদেশ এক্ষেত্রে সফল হচ্ছে।’
এজন্য মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং এই অর্জনকে আরও সুসংহত করার লক্ষ্যে একযোগে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে মানবপাচারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা আরও জোরদার হয়েছে।
মানবপাচার নির্মূলে এখনো যেসব বিচ্যুতি রয়েছে সেগুলো দূর করার বিষয়ে মন্ত্রী তার মন্ত্রণালয়ের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘নিরাপদ, নিয়মিত, সুষ্ঠু ও দায়িত্বশীল শ্রম অভিবাসন নিশ্চিত করার জন্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসরণ করে কাজ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে যেকোনো ধরনের বেআইনি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয় জিরো টলারেন্স প্রদর্শন করে যাবে।’
সুষ্ঠু অভিবাসন নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রতিবেদনের বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ কাজে লাগাবে বলেও জানান ইমরান আহমদ।
গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক মানবপাচার বিষয়ক প্রতিবেদন ‘ট্রাফিকিং ইন পার্সন রিপোর্ট ২০২০’ প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মানবপাচার রোধে উন্নতির তথ্য উঠে আসে। গত তিন বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র মানবপাচার রিপোর্টে দ্বিতীয় স্থরের নজরদারি তালিকা থেকে দ্বিতীয় স্তরে উঠে আসে বাংলাদেশের নাম।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ও দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোলান্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টা ইভাঙ্কা ট্রাম্প রিপোর্টটি উদ্বোধন করেন।
যুক্তরাষ্ট্র মানবপাচার রিপোর্টে চারটি ক্যাটাগরিতে দেশগুলোকে ভাগ করা হয়। এগুলো হচ্ছে- প্রথম স্তর, দ্বিতীয় স্তর, দ্বিতীয় স্তর নজরদারি (ওয়াচলিস্ট) ও তৃতীয় স্তর।
আভ্যন্তরীণ এবং বিদেশে বিভিন্ন মানবপাচারের ঘটনার সঙ্গে বাংলাদেশিদের জড়িত থাকার কারণে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা না নেয়ায় গত তিন বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের মানবপাচার রিপোর্টে দ্বিতীয় স্তরের নজরদারি তালিকায় ছিল বাংলাদেশ।
(ঢাকাটাইমস/২৭জুন/এনআই/জেবি)

মন্তব্য করুন