মুমতাহানা মৃত্তির দুটি কবিতা
শিল্পী
শিল্পী হবে?
তুমি কি শিল্পী?
হয়তো বলবে হ্যাঁ,
হয়তো বা না।
তবে কেমন শিল্পী?
কেউ বলবে আঁকিয়ে
কেউবা নাচিয়ে
কেউবা আবার গাইয়ে।
তবে যারা তা জানে না,
তারা কি শিল্পী হয় না?
আমি বলি─
শিল্পী হয় অনেক রকম
সবার মধ্যে থাকে শিল্পী আজীবন।
কেউবা মনের শিল্পী
কেউবা কথার শিল্পী
কেউবা আবার ভালোবাসার শিল্পী।
আরও অনেক শিল্পী আছে
লুকিয়ে থাকে যারা
জানতে হবে কেমনে তাদের
যেতে পারে ধরা।
সত্তা আছে সবার ভিতর
ভাবনার আঙিনায়
মন চাইলেই তারে তো
দেখতে পাওয়া যায়।
দেখতে পেলে জানতে হবে
কেমনে তার সাধন হবে
ডুব দিয়ে গভীর চেতনায়
হারিয়ে যাও সেই ভাবনায়।
পাইলে তা খুঁজে
‘মনেরে তবে ভালো রেখো’
স্মরণে রেখো এ কথা
না হলে যে শিল্পী হওয়া
আগা-গোড়াই বৃথা!
আমার বাড়ি
আমার বাড়ি
যেইখানে মোর অস্তিত্ব
স্মৃতি শত-শত
তাই তো আমার নিজের বাড়ি
আবেগে বিস্তৃত।
সুখের সময় দুঃখের সময়
আগলে রাখে মায়ায় আমায়
আনন্দ আর উৎসবে
নতুন রূপে আমায় রাঙায়।
দিনের বেলা রাতের বেলা
তার সাথেই যে নানান খেলা
মনের মধ্যে ভাসায় সে
আনন্দেরই ভেলা।
সুখের খবর দুঃখের খবর
আগেই জানে সে
বহুদূরে থাকলেও
মন থাকে তার কাছে।
ছোট বেলা বড় বেলা
কাটানো সারা বেলা
তার সাথেই চুপি চুপি
মনের কথা বলা।
যেই বাড়ির দেয়ালে এখনো
মোর হাতে ছোঁয়া
তাইতো আমার নিজের বাড়ি
যেথায় হারিয়ে যাওয়া।
[মুমতাহানা মৃত্তি দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী, উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ঢাকা]