সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ, দুই প্রকৌশলী বদলি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ০৯ জুলাই ২০২০, ২৩:১২
অ- অ+

শেরপুর বনগাঁও-জামালপুর মহাসড়কে সদর উপজেলার নন্দীর বাজারে দুইটি কজওয়ের উপর সেতু নির্মাণ কাজের শিমুলতলী সেতু ও একই সড়কের ৯ কিঃ মিঃ এর পোড়াদাহ দুটি সেতুর নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগে মন্ত্রণালয় থেকে একজন উপ-সচিব ও একজন সহকারী সচিবসহ দুই সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পরে ৮ জুলাই বিকালে ও বৃহস্পতিবার দুপুরে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণায়ের উপ-সচিব আজিজুর রহমান ও সহকারী সচিব মাহবুব-এ-এলাহীর নেতৃত্বে সেতু নির্মাণ কাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেন।

এ ঘটনায় শেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান উদ্দিন আহমেদকে ফেনী জেলায় এবং উপ-সহকারী প্রকৌশলী আজাহারুল ইসলাম আজাদকে মেহেরপুর জেলায় বদলির আদেশ দিয়েছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী।

সেতুর কাজ বাস্তবায়নে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মোজাহার এন্টারপ্রাইজ (প্রা.) লিমিটেড প্রায় ৪০ কোটি টাকার কাজ পায়। সেতু দুটি নির্মাণের শুরুতেই বালুমিশ্রিত পাথর, আয়রন বালু এবং পূর্বের ব্যবহৃত নির্মাণ সামগ্রীসহ নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সেতু নির্মাণে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ উঠে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।

শেরপুর সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নিজস্ব অর্থায়নে ৪০ কোটি টাকা ব্যায়ে ১৫২ মিটার দৈর্ঘ দুটি কজওয়ে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। বর্ষা মৌসুমে ব্রহ্মপুত্র নদের বন্যার পানি প্রবাহিত হলে বছরের তিন মাস শেরপুর- জামালপুর মহাসড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকে। দুটি কজওয়ের নির্মাণ কাজ শেষ হলে রৌমারী, রাজিবপুর, বকশীগঞ্জ ও শেরপুর জেলা শহর থেকে জামালপুর হয়ে বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু হয়ে উত্তর বঙ্গ ও দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হবে। তবে কাজের শুরুতেই অভিযোগ উঠেছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মোজাহার এন্টার প্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেড-এর ঠিকাদার শেরপুর সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান হাবিব ও সাব-এ্যাসিস্টেন্ড ইঞ্জিনিয়ার আজাহারুল ইসলাম আজাদের যোগসাজেসে শুরু থেকেই ব্রিজের পাইলিং-এর কাজে নিম্নমানের লোকাল মরা পাথর ও সাবেক রাস্তার ঢালাই উঠিয়ে খোয়া তৈরি করে এই সব নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে পাইলিং-এর কাজ শুরু করার।

এদিকে ৬ জুলাই ভিত্তিস্থাপনকালে এলাকাবাসী ও স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ শুনে সরকার দলীয় হুইপ আতিউর রহমান আতিক সরজমিন নির্মাণসামগ্রী পরিদর্শন করে সত্যতা পেয়ে ব্রিজের কাজ স্থগিত রাখার নির্দেশ প্রদান করেন। পরে উদ্বোধন শেষে হুইপ আতিক সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলীকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিম্নমানের পাথরসহ নির্মাণসামগ্রী অপসারণ এবং কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।

অভিযুক্ত মোজাহার এন্টার প্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেড-এর ঠিকাদার প্রতিনিধি শামিম মিয়া জানান, এলসি পাথর না থাকায় সিলেটের পাথর তারা ব্যবহার করছেন, তবে পুরাতন রাস্তা ভেঙ্গে খোয়া ব্যবহারের কথা অস্বীকার করেন।

কাজের অনিয়ম নিয়ে শেরপুর সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান হাবিব বলেন, তার সাথে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কোন যোগসাজেস হয়নি।

এসময় উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তদন্তকারী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপ-সচিব আজিজুর রহমান বলেন, সেতুর পাইলিং ঢালাইয়ের ব্যবহৃত নির্মাণসামগ্রী ল্যাব টেস্টের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে শুধু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মোজাহার এন্টারপ্রাইজ (প্রাঃ) লিমিটেড নয় এ কাজের সাথে এবং অনিয়ম ও দুর্নীতিতে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/৯জুলাই/এলএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
পল্লীবন্ধু এরশাদ চিরকাল মানুষের হৃদয়ে কণক প্রদীপ হয়ে জ্বলবেন
চাঁদা না দেওয়ায় পল্লবীতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলা, গুলিবর্ষণ: গ্রেপ্তার ৩
ছন্দে ফিরলেন লিটন, সমতায় ফিরল টাইগাররা
১২ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১০৭ কোটি মার্কিন ডলার
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা