ফরিদপুরের রুবেল-বরকত মানি লন্ডারিং মামলায় রিমান্ডে

ফরিদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৩ জুলাই ২০২০, ২১:৩৫

ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন ওরফে বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম জুম অ্যাপসের মাধ্যমে শুনানি শেষে মানি লন্ডারিং মামলায় দুই ভায়ের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বরকত ও রুবেল বর্তমানে ফরিদপুর জেলা কারাগারে রয়েছেন। দুপুর ১২টার দিকে ওই কারাগারের গেটে জুম অ্যাপসের মাধ্যমে রিমান্ডের এ শুনানি শোনেন তারা।

পুলিশ রিমান্ডের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের জেল সুপার আব্দুর রহিম বলেন, সিআইডি বরকত ও রুবেলের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন জানায়। আদালত শুনানি শেষে দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)-এর পরিদর্শক এসএম মিরাজ আল মাহমুদ বাদী হয়ে গত ২৬ জুন ঢাকার কাফরুল থানায় মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ এনে এ মামলাটি করেন।

এ মামলায় ওই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে দুই হাজার কোটি টাকার সম্পদ অবৈধ উপায়ে উপার্জন ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন সংশোধনী ২০১৫ এর ৪(২) ধারায় এ মামলাটি করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে বর্তমান বছর পর্যন্ত ফরিদপুরের এলজিইডি, বিআরটিএ, সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি বিভাগের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন বরকত ও রুবেল। এছাড়াও মাদক ব্যবসা ও ভূমি দখলের অভিযোগ আনা হয় এজাহারে। এভাবে উপার্জিত অবৈধ অর্থ দিয়ে এসি, নন-এসিসহ ২৩টি বাস, ড্রাম ট্রাক, বোল্ডার, পাজেরো গাড়ির মালিক হয়েছেন, এ টাকার উল্লেখযোগ্য অংশ হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেন তারা।

এজাহারে আরও বলা হয়, প্রথমজীবনে এই দুই ভাই রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে এক বিএনপি নেতার কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তখন তাদের সম্পদ বলতে তেমন কিছু ছিল না।

এজাহারে আরও বলা হয়, গত ১৮ জুন তিনি এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়ে তদন্ত শুরু করেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে এই দুই ভাই অন্তত দুই হাজার কোটি টাকা অবৈধ উপায়ে উপার্জন করেছেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ মে রাতে ফরিদপুর জেলা আ.লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে দুই দফা হামলার ঘটনা ঘটে। সুবল সাহার বাড়ি শহরের গোয়ালচামট মহল্লার মোল্লা বাড়ি সড়কে অবস্থিত। এ ঘটনায় গত ১৮ মে সুবল সাহা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ফরিদপুর কোতয়ালি থানায় একটি মামলা করেন।

গত ৭ জুন রাতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলার মামলার আসামি হিসেবে শহরের বদরপুরসহ বিভিন্ন মহল্লায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ বরকত ও রুবেলসহ মোট নয়জনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের বাড়ি তল্লাশি করে বিদেশি অস্ত্র, গুলি, বিদেশি মদ, ইয়াবা, ডলার, রুপী ও নগদ ২৯ লক্ষ টাকা এবং ১২’শ বস্তা চাল জব্দ করে পুলিশ।

(ঢাকাটাইমস/১৩জুলাই/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :