মাদক নিরাময়ে কাউন্সেলিংই সবচেয়ে জরুরি: সেলিম চৌধুরী

মাদকনির্ভরশীল চিকিৎসায় কাউন্সেলিংয়ের গুরুত্ব অপরিসীম বলে মন্তব্য করেছেন অটিজম ও নিউরোডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধিকতা বিষয়ক জাতীয় একাডেমির কাউন্সেলিং মনোবিজ্ঞানী ডা. সেলিম চৌধুরী।
সোমবার সকালে রাজধানীর শ্যামলীতে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের সভাকক্ষে আয়োজিত এক পারিবারিক সভায় তিনি এ কথা বলেন। আহ্ছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে চিকিৎসাধীন ক্লায়েন্টদের অভিভাবকেরা অংশ নেন।
ডা. সেলিম চৌধুরী বলেন, কাউন্সেলিং হচ্ছে কথার মাধ্যমে চিকিৎসা—যাকে বলা হয় ‘টকিং থেরাপি’। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে ব্যক্তি নিরাপদ ও গোপনীয় পরিবেশে তার সমস্যা কাউন্সেলরের সঙ্গে ভাগ করে নেয় এবং আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজে নেয়।
তিনি আরও বলেন, মাদকনির্ভরশীল রোগীদের চিকিৎসা গ্রহণে আগ্রহী করা, মানসিকভাবে প্রস্তুত করা এবং পরবর্তীতে সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনতে ধারাবাহিক কাউন্সেলিং অত্যন্ত কার্যকর। শুধুমাত্র চিকিৎসাকালীন নয়, চিকিৎসা-পরবর্তী সময়েও এই কাউন্সেলিং বজায় রাখা দরকার।
সভায় বক্তারা জানান, হতাশা, অস্থিরতা, ঘৃণা, ক্ষোভ বা কষ্ট থেকে মুক্তির পথ হিসেবে অনেক তরুণ মাদককে বেছে নেয়। কাউন্সেলিং ব্যক্তি ও পরিবারের মধ্যে বন্ধন সুদৃঢ় করতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি আত্মবিশ্বাসী, আত্মনিয়ন্ত্রিত ও সমাজে খাপ খাইয়ে নেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করে।
আহ্ছানিয়া মিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা নিয়মিতভাবে পরিবারকেন্দ্রিক সচেতনতা সভা ও কাউন্সেলিং কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে, যার ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে রোগীদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায়।
সভায় ক্লায়েন্টদের অভিভাবকেরাও তাদের মতামত ও অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেন।

মন্তব্য করুন