উত্তরা মাইলস্টোন ক্যাম্পাস ভবনে
বিমান বিধ্বস্তের পর মানসিক ট্রমায় শিক্ষার্থীরা, পাশে দাঁড়িয়েছে বিমানবাহিনী

রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে সম্প্রতি বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অস্থায়ী চিকিৎসা ক্যাম্প চালু করেছে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী।
সোমবার সকাল ৯টা থেকে ক্যাম্প কার্যক্রম শুরু হয়। এই সেবা চলবে এক সপ্তাহ, প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত। স্কুলটির মূল প্রশাসনিক ভবনের ভেতরেই এই ক্যাম্প চালু করা হয়েছে।
দেখা যায়, চিকিৎসাসেবা নিতে এসেছেন শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের আত্মীয়স্বজনরা। ক্যাম্প পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন বিমানবাহিনীর মোট ১৫ সদস্যের একটি দল, যার মধ্যে রয়েছেন দুইজন চিকিৎসক এবং কয়েকজন চিকিৎসা সহকারী।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিমানবাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার ও চিকিৎসক শিহাব আলী জানান, ঘটনার সময় ক্যাম্পাসে থাকা অনেকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। কেউ কেউ ঘুমাতে পারছে না, দুঃস্বপ্নে আক্রান্ত হচ্ছে। পাশাপাশি পুড়ে যাওয়া বা আগুনের আঁচ লাগা শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা, ড্রেসিং ও ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।
মাইলস্টোনের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী আহমেদ আল ফাতাহ বলেন, ‘যে ভবনে প্লেন বিধ্বস্ত হয়, সেখানেই আমার ক্লাসরুম। ভাগ্য ভালো, আমি একটু আগেই বের হয়েছিলাম। কিন্তু আমার বন্ধু শামীম মারা গেছে। রাতে ঘুমাতে ভয় পাই।’
আরেক শিক্ষার্থী, চতুর্থ শ্রেণির নুহান হোসেন, যার কান ও মুখে পোড়া দাগ রয়েছে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে এসেছিল অভিভাবকের সঙ্গে। তাকে প্রয়োজন হলে সিএমএইচে পাঠানো হতে পারে বলে জানা গেছে।
অভ্যন্তরীণভাবে ক্যাম্প পরিচালনার বিষয়ে বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, স্কুল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ছাত্র-অভিভাবকদের ক্যাম্প সম্পর্কে জানানো হয়েছে। এতে মানসিক ও শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের সেবা দেওয়ার পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি সহায়তার প্রয়োজনীয়তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গত ২১ জুলাই উত্তরার মাইলস্টোন ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধ বিমান বিধ্বস্ত হয়। এই ঘটনায় ৩০- এর বেশি শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারি নিহত হয়েছেন। বিমানটির পাইলটও ঘটনার দিন নিহত হন। এখনও রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকে।

মন্তব্য করুন