মোহাম্মদপুর থানা পুলিশকে ঘিরে মিথ্যা প্রচারণার প্রতিবাদ জানালেন স্থানীয় জনসাধারণ

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে গুজব ও মিথ্যা সংবাদ ছড়ানোর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে স্থানীয় জনসাধারণ। সম্প্রতি কিছু গণমাধ্যমে মোহাম্মদপুর এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং থানার বিরুদ্ধে দুর্বল ব্যবস্থাপনার অভিযোগ এনে যেসব সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, সেগুলোকে ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক আখ্যা দিয়ে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
সোমবার বিকালে টাউন হল বাজারের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থানীয় শতাধিক ব্যাক্তি জড়ো হন।
প্রতিবাদ সভায় স্থানীয়রা বলেন, রাজধানীর অপরাধ নিয়ন্ত্রণে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। থানা এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ১৪৮ জন পুলিশ সদস্য নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছেন। ২৪ নম্বর ওয়ার্ডকে ‘মডেল ওয়ার্ড’ হিসেবে গড়ে তুলতে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের নিরলস চেষ্টার কথা উল্লেখ করেন তারা।
উপস্থিত স্থানীয়রা আরও বলেন, সরকারবিরোধী একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগ সমর্থিত স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চাচ্ছে। তাদের এই চক্রান্ত থানা পুলিশের মর্যাদা ও দক্ষতার ওপর আঘাত হানছে। এক্ষেত্রে কিছু কথিত অনলাইন বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করছে বলে— অভিযোগ তোলেন স্থানীয়রা।
তারা আরও বলেন, 'আমরা মোহাম্মদপুরবাসী এ ধরনের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। থানার অফিসারদের দুর্নাম রটিয়ে এলাকাকে অস্থির করে তুলতে দেওয়া হবে না।' এসময় সব ধরণের চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও মাদক নির্মূলে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের প্রশংসা করা হয় এবং একইসঙ্গে গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিক মোহাম্মদপুর তিন রাস্তার মোড় সংলগ্ন এলাকায় ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে মোবাইলসহ মূল্যবান জিনিস হারান। এই ঘটনায় থানা পুলিশের অসহযোগী পেয়ে তিনি ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন, যা মুহুর্তে ভাইরাল হয়। পরদিন দুপুরে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে উদ্ধার হয় ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইল ফোনটি। এই ঘটনায় জড়িত প্রধান অভিযুক্তসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একইসঙ্গে পুলিশের কাঙ্ক্ষিত সেবা নিশ্চিত না করায় থানা পুলিশের একজন এসআই, একজন এএসআইসহ দুই পুলিশ কনস্টেবলকে ক্লোজ করা হয়।

মন্তব্য করুন