প্রতিকূল বাজার পরিস্থিতির মধ্যেও স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধিতে রবি

সামষ্টিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ এবং অসম বাজার প্রতিযোগিতা সত্ত্বেও পরিচালন দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রেখেছে রবি আজিয়াটা পিএলসি। পরিবর্তনশীল বাজার পরিস্থিতির মধ্যেও নিজেদের অবস্থান ধরে রেখে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) রবি’র কর পরবর্তী মুনাফার পরিমাণ ২৫৭ দশমিক ৪ কোটি টাকা।
কোম্পানির সার্বিক ব্যবসায়িক পরিস্থিতি সম্পর্কে রবির ভারপ্রাপ্ত সিইও এবং চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার এম. রিয়াজ রাশিদ বলেন, `২০২৫ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রবি'র ঘুরে দাঁড়ানো আমাদের জন্য অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নতুন গ্রাহক আমাদের সাথে যুক্ত হওয়া প্রমাণ করে, আমরা সেবার মানের ওপর যে নিবিড় মনোযোগ দিচ্ছি, তা ইতিবাচক ফল দিচ্ছে। নিজস্ব উদ্ভাবিত ডিজিটাল সমাধান প্রয়োগের মাধ্যমে ব্যয় সাশ্রয়ের নানা উদ্যোগ কার্যকর ফলাফল বয়ে এনেছে।'
রিয়াজ আরও বলেন, `বাজার প্রতিযোগিতা ক্ষতিগ্রস্ত হলে টেলিযোগাযোগ খাতে সংস্কারের যে সুফল আশা করা হচ্ছে তা বাধাগ্রস্ত হতে পারে।' এই সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে টেলিকম রেগুলেটরের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় রাজস্ব ১ দশমিক ৯ শতাংশ কমে ২ হাজার ৫৫৪ দশমিক ৮ কোটিতে দাঁড়িয়েছে এই বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে। এর মানে রবি এখনো গত বছরের পূর্ববর্তী ক্রমোন্নতির ধারায় পৌঁছাতে পারেনি।
চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৫২ দশমিক ৭ শতাংশ মার্জিনসহ রবির ইবিআইটিডিএ’র (আর্নিংস বিফোর ইনকাম ট্যাক্স, ডেপ্রিসিয়েশন অ্যান্ড অ্যামোর্টাইজেশন) পরিমাণ ১ হাজার ৩৪৬ দশমিক ৭ কোটি টাকা।
গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ইবিআইটিডিএ বৃদ্ধি পেয়েছে ১০ দশমিক ১ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রাজস্ব কমলেও পরিচালন দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে কর পরবর্তী মুনাফা বেড়েছে ১৩৯ দশমিক ৫ শতাংশ।
বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সরকারি কোষাগারে রবি জমা দিয়েছে ১ হাজার ৫৯৩ দশমিক ৬ কোটি টাকা যা কোম্পানির মোট রাজস্ব আয়ের ৬২ শতাংশ। দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির মূলধনী বিনিয়োগের পরিমাণ ২২৮ দশমিক ২ কোটি টাকা।
চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রবি'র শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে দশমিক ৪৯ টাকা, যা বিগত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ১৩৯ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি।
বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে যোগ হওয়া ১০ লাখ নতুন গ্রাহকসহ রবির গ্রাহক সংখ্যা দাড়িয়েছে ৫ কোটি ৭৪ লাখ। এ সময় ১৬ লাখ নতুন ইন্টারনেট গ্রাহক যুক্ত হওয়ায় মোট ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা হয়েছে ৪ কোটি ৪১ লাখ। পাশাপাশি দ্বিতীয় প্রান্তিকে যোগ হওয়া নতুন ১৭ লাখ ফোরজি গ্রাহকসহ মোট ফোরজি গ্রাহক সংখ্যা হয়েছে ৩ কোটি ৮৫ লাখ।
দ্বিতীয় প্রান্তিক শেষে রবির মোট গ্রাহকের ৭৬ দশমিক ৮ শতাংশ ইন্টারনেট এবং ৬৭ শতাংশ গ্রাহক ফোরজি প্রযুক্তি ব্যবহার করেন। এখন পর্যন্ত ইন্টারনেট ও ফোরজি প্রযুক্তি ব্যবহারকারীর সংখ্যার অনুপাতে এই খাতে এ হার সর্বোচ্চ। ২০২৫ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত ১৮ হাজারের বেশি ফোরজি সাইট স্থাপন করেছে অপারেটরটি।

মন্তব্য করুন