ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সিএনজি অটোরিকশা ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে মহাসড়ক অবরোধ, ভোগান্তি

ট্রাফিক পুলিশের হয়রানি, অতিরিক্ত অর্থ আদায়, বিনা কারণে গাড়ি জব্দ এবং লাইসেন্স সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ এনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট দ্বিতীয় দিন পার করছে।
আজ সোমবার (২৮ জুলাই) ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে সিএনজিচালিত অটোরিকশা মালিক-শ্রমিকরা সকাল নয়টা থেকে ১২টা পর্যন্ত কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক তিন ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন।
সদর উপজেলার নন্দনপুর এলাকায় এই সড়ক অবরোধের কারণে মহাসড়কের দুই পাশে প্রায় ১০ কিলোমিটার জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
মহাসড়ক অবরোধের কারণে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েন বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীরা। অনেকে গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে রওনা হন।
বেলা ১২টার দিকে পুলিশের পক্ষ থেকে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে অবরোধ তুলে নিলে মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়।
ধর্মঘটের কারণে সোমবার সকাল থেকেই জেলাজুড়ে প্রধান প্রধান সড়কসহ মহাসড়কে সব ধরনের সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ রয়েছে। চালকরা বিভিন্ন স্থানে সড়কে অবস্থান নিয়ে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলে বাধা দেন। যাত্রীদের জোরপূর্বক অটোরিকশা থেকে নামিয়ে চাকার হাওয়া ছেড়ে দেন। এতে যাত্রীরা সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন। বিশেষ করে নারী, শিশু ও রোগীরা খুবই কষ্ট করে।
ধর্মঘটের কারণে চাপ বেড়েছে বাসসহ অন্যান্য গণপরিবহনে। তবে দুর্ভোগের মাত্রা আরো বাড়ে চালকরা কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের সদর উপজেলার নন্দনপুর এলাকায় সড়ক অবরোধ করলে। এতে মহাসড়কের দুই পাশে প্রায় ১০ কিলোমিটার জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
যানবাহনের যাত্রীরা পায়ে হেঁটে তাদের গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেন। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আশ্বাসে প্রায় ৩ ঘণ্টা পর বেলা ১২টার দিকে যান চলাচল শুরু করে।
সিএনজিচালিত অটোরিকশা মালিক-শ্রমিকদের তিন দফা দাবি (জব্দকৃত সব সিএনজি চালিত অটোরিশা ছেড়ে দেয়া, পারমিট অনুযায়ী জেলার সর্বত্র অবাধ চলাচল এবং ট্রাফিক বিভাগের হয়রানি বন্ধ করা) আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে বলে জানান সিএনজি অটোরিকশা মালিক শ্রমিক সমিতির নেতারা।
ভুক্তভোগীরা জানান, সিএনজি অটোরিকশার ধর্মঘটের কারণে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। এর দ্রুত সমাধান চান তারা।
এ ব্যাপারে জেলা সিএনজিচালিত অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. স্বপন মিয়া বলেন, ‘তিন দফা দাবি আদায়ে আমাদের ধর্মঘট চলছে। প্রশাসনের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেয়া হয়। দাবি আদায় না হলে আরো কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।’
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন জানান, সিএনজিচালিত অটোরিকশার মালিক-শ্রমিকদের জানানো হয়েছে চলমান সমস্যা নিয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সবাই মিলে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে। মহাসড়ক থেকে তাদের অবরোধ তুলে নেওয়ায় বর্তমানে যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৮জুলাই/মোআ)

মন্তব্য করুন