‘শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে বন্দি করা হয়’
ওয়ান ইলেভেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবসের পটভূমির কথা স্মরণ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রকৃতপক্ষে সেদিন শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে বন্দি করা হয়েছিল। গণতন্ত্রকে বন্দি করার হীন উদ্দেশ্যে প্রকৃতপক্ষে সেদিন শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, কারণ যাদের দুর্নীতি-দুঃশাসনের কারণে বাংলাদেশের মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছিল, সেই খালেদা জিয়া এবং খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন সরকারের নেতৃবৃন্দকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘কারাবন্দি দিবস’ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।
এক/এগারোর সরকারের দুরভিসন্ধিমূলক ষড়যন্ত্রের কথা তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা হচ্ছেন গণতন্ত্রের অগ্নিবীণা। তার ধমনী শিরায় বঙ্গবন্ধু রক্ত প্রবাহমান। তিনি কোনো আপোষ জানেন না। তিনি পরাভব মানেন না। সেই কারণেই তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে যেমন কারাগার থেকে মুক্ত করেছেন।
‘সেদিন যারা ষড়যন্ত্র করে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করার পটভূমি রচনা করেছিল সেই ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবরা আজকেও জনগণ যখন এই করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে অত্যন্ত অসহায় অবস্থায় আছে, তখন জননেত্রী শেখ হাসিনা কিন্তু জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এখনো পর্যন্ত সাত কোটির বেশি মানুষকে সহায়তার আওতায় এনেছেন। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন।‘
হাছান মাহমুদ বলেন, ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবরা জনগণের পাশে দাঁড়ায়নি। তারা হারিয়ে গেছে। কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। তারা দেশে যখনই কোনো সংকট তৈরি হয় তখনই তারা ছোবল দেয়ার অপচেষ্টা দেখায়। বিভিন্ন জায়গায় বৈঠক করে কিভাবে গণতন্ত্রকে আবারো নস্যাৎ করা যায় সেই চেষ্টা তারা এখনও অব্যাহত রেখেছে।
সংকট সংগ্রামে আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনা অবিরাম অবিচল। তিনি সমস্ত সংকটে অবিরাম অবিচল থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জানিয়ে দলীয় সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি অভিবাদন জানান।
ঢাকাটাইমস/১৬জুলাই/ইএস