জামিন পেলেন সিনহার সহকর্মী সিফাত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১০ আগস্ট ২০২০, ১১:১২| আপডেট : ১০ আগস্ট ২০২০, ১৫:০০
অ- অ+

কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের সঙ্গে তথ্যচিত্র নির্মাণে যুক্ত থাকা স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাহেদুল ইসলাম সিফাত মাদক মামলায় জামিন পেয়েছেন।

সোমবার কক্সবাজারের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ জামিন মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে সিফাত ও শিপ্রার বিরুদ্ধে পুলিশের করা মামলার তদন্তভার র‌্যাবের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

সিফাতের সঙ্গে গ্রেপ্তার শিপ্রা দেবনাথ গতকাল রবিবার জামিন পেয়ে কারামুক্ত হয়েছেন। রবিবার রামুর জ্যেষ্ঠ বিচারিক দেলোয়ার হোসেনের আদালতে তার জামিন হয়।

সিফাতের জামিন শুনানির জন্য আজকে দিন নির্ধারণ করা হয়েছিল। শিপ্রা ও সিফাত দুজনই স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী।

গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ।

দুই বছর আগে সেনাবাহিনী থেকে অবসরে যাওয়া রাশেদ ‘লেটস গো’ নামে একটি ভ্রমণ বিষয়ক ডকুমেন্টারি বানানোর জন্য প্রায় এক মাস ধরে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকায় ছিলেন। ওই কাজে তার সঙ্গে ছিলেন স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের শিক্ষার্থী সিফাত ও শিপ্রা।

কক্সবাজারের পুলিশ বলছে, সিনহা তার পরিচয় দিয়ে ‘তল্লাশিতে বাধা দেন’। পরে ‘পিস্তল বের করলে’ চেক পোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ তাকে গুলি করে। পুলিশ সেদিন ঘটনাস্থল থেকেই সিফাতকে গ্রেপ্তার করে। পরে নীলিমা রিসোর্ট থেকে গ্রেপ্তার করা হয় শিপ্রাকে।

সিনাহ নিহতের ঘটনায় এবং গাড়ি থেকে মাদক উদ্ধারের অভিযোগে টেকনাফ থনায় দুটি মামলা করে পুলিশ, যাতে সিনহা এবং তার সঙ্গে থাকা সিফাতকে আসামি করা হয়। আর নীলিমা রিসোর্ট থেকে শিপ্রাকে গ্রেপ্তার করার সময় মাদক পাওয়া যায় অভিযোগ করে তার বিরুদ্ধে রামু থানায় মামলা করা হয়। তবে এ ঘটনায় পুলিশ দেয়া বিবরণ নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

গত ৩ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ ঘটনার তদন্তে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে প্রধান করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে।

গত ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরিদর্শক লিয়াকত আলি ও ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওইদিন রাতেই টেকনাফ থানায় মামলাটি নথিভুক্ত হয়েছে।

পরদিন বৃহস্পতিবার (০৬ আগস্ট) বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতসহ মামলার ৭ আসামি আত্মসমর্পণ করেন। পরে র‌্যাব আদালতে প্রত্যেক আসামির বিরুদ্ধে ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করলে বিচারক পরিদর্শক লিয়াকত, ওসি প্রদীপ এবং এসআই দুলাল রক্ষিতকে ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর এবং ৪ আসামিকে দুই দিন করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন। এছাড়া অনুপস্থিত থাকা বাকি ২ জন আসামিকে পলাতক দেখিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

(ঢাকাটাইমস/১০আগস্ট/বিইউ/এমআর)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
এবার সাবেক রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে সরানো হলো কিশোরগঞ্জের এসপিকে, তদন্ত কমিটি গঠন
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামালের স্ত্রীর প্লট-ফ্ল্যাট জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়লো আরও ২ মাস
আ.লীগ থেকে বিএনপিতে আসার বক্তব্য নিয়ে রিজভীর প্রতিবাদ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা