জলাশয় রক্ষায় বেশি বেশি কালভার্ট করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

জলাশয় ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বেশি বেশি বা কিছুদূর পরপর কালভার্ট করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা এই নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী, সচিবরা রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত এনইসি সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত থেকে একনেক সভায় অংশ নেন। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের সামনে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘জলাশয় বা জলমগ্ন এলাকায় যেসব সড়কের কাজ করা হবে, সেখানে অনেক বেশি কালভার্ট রাখতে হবে। প্রাকৃতিক কিছু খাল আছে, সেসব খাল তো রাখবোই; উনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, আরও বাড়তি বা কিছুদূর পরপর একটা করে কালভার্ট করবেন। পানি যাতে অবাধে চলাচল করতে পারে। মাছ অবাধে চলাফেরা করতে পারে। জলজ প্রাণীর স্বাধীনতাকে আমরা সম্মান করি।’
প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘ওই এলাকায় (হাওরাঞ্চলের) যেসব আদিম গাছগাছালি আছে- হিজল করচ তমাল এসব রক্ষা করতে হবে। প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য যা আছে, প্রাণিজ জলজ বৃক্ষজ রক্ষা করতে হবে। জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা করতে হবে।’
আজকের একনেক সভায় ছয় হাজার ৬২৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকার ছয়টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে চাঁদপুর ও কুমিল্লা জেলা সদরের সঙ্গে মতলব উত্তর উপজেলার উন্নত সড়ক যোগাযোগ তৈরির প্রকল্পটি উল্লেখযোগ্য। ‘মতলব-মেঘনা-ধনাগোদা-বেড়িবাঁধ (জেড-১০৬৯) সড়ক উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ’ শিরোনামে প্রকল্পটির খরচ ধরা হয়েছে ১২১ কোটি ৯৩ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। পুরোটাই সরকারি অর্থায়নে প্রকল্পটি ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ/সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর।
এ প্রকল্পের আওতায় মাটির কাজ (প্রশস্তকরণ) ৪ দশমিক ৮৩ লক্ষ ঘনমিটার, পেভমেন্ট প্রশস্ত করা হবে (২ × ০.৯০ মিটার প্রস্থে) ৩৭ দশমিক ৯৪ কিলোমিটার, বাঁক প্রশস্ত করা হবে ৮০০ মিটার, পেভমেন্ট মজবুতি করা হবে ১৩ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার, সার্ফেসিং (বেইজ কোর্স ৩ দশমিক ৭০ মিটার প্রস্থে) ২৪ দশমিক ২০ কিলোমিটার, সার্ফেসিং (ওয়্যারিং কোর্স ৫ দশমিক ৫০ মিটার প্রস্থে) ৩৭ দশমিক ৯৪ কিলোমিটার, বাস-বে (৩টি) ৩১৫ মিটার, সসার ড্রেন নির্মাণ ৬২০ মিটার, ক্রস ড্রেন ২৪০ মিটার, আরসিসি প্যালাসাইডিং দুই হাজার ৪০০ মিটার, রোড মার্কিং ৯ হাজার ১০৫ দশমিক ৬০ বর্গমিটার, নির্মাণকালীন রক্ষণাবেক্ষণ ৩৭ দশমিক ৯৪ কিরোমিটার, জেনারেল ও সাইট ফ্যাসিলিটিজ, সাইন, সিগনাল, কংক্রিট গাইড পোস্ট, কংক্রিট কিলোমিটার পোস্ট, ডিরেকশনাল সাইন স্থাপন করা ইত্যাদি।
প্রকল্পটির বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের মত, এটি বাস্তবায়িত হলে চাঁদপুর ও কুমিল্লা জেলা সদরের সাথে মতলব উত্তর উপজেলার উন্নত ও নিরাপদ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনসহ প্রকল্প এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে।
(ঢাকাটাইমস/০১সেপ্টেম্বর/জেআর/জেবি)

মন্তব্য করুন