শ্বশুরবাড়িতে নিখোঁজ যুবকের সন্ধান মেলেনি এক মাসেও

ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২১:২৪ | প্রকাশিত : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২১:১৫

ময়মনসিংহের ত্রিশালের বাড়ি থেকে গফরগাঁওয়ে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে নিখোঁজ হওয়া ইউসুফ জামিলের সন্ধান মেলেনি এক মাসেও।

তার পরিবারের অভিযোগ, স্ত্রী তামান্না আক্তার ও তার পরিবার পরিকল্পিতভাবে ইউসুফকে অপহরণ করে হত্যা করে লাশ গুম করে রেখেছে।

তবে, ইউসুফের পরিবারের এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন স্ত্রী তামান্না আক্তারের পরিবার। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদেও তারা ইউসুফের নিখোঁজ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন।

গত ২ আগস্ট ত্রিশাল উপজেলার বীররামপুর চরপড়া গ্রাম থেকে স্ত্রী তামান্না আক্তারকে নিয়ে গফরগাঁওয়ের কদম রসুলপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যান ইউসুফ জামিল। পরের দিন মুঠোফোনে তার পরিবারকে নিখোঁজের খবর জানান শাশুড়ি আছমা খাতুন। আত্মীয়-স্বজনসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে ছেলের সন্ধান না পেয়ে ৪ আগস্ট মা রাশিদা বেগম গফরগাঁও থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে সাধারণ ডায়েরি করতে বলে। সাধারণ ডায়েরি করার একমাস পার হলে ছেলের সন্ধান না পাওয়ায় ইউসুফ জামিলের মা রাশিদা বেগম গত ১৮ আগস্ট ময়মনসিংহ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অপহরণের অভিযোগে স্ত্রী তামান্না আক্তার, তার পিতা এনামুল হক ও মাতা আছমা খাতুনকে আসামি করে মামলা করেন। এর আদালতের হাকিম মামলাটি গফরগাঁও থানার ওসিকে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশের প্রেক্ষিতে গফরগাও থানা পুলিশ মামলাটি এজাহারভুক্ত করে স্ত্রী তামান্না, তার পিতা এনামুল ও মাতা আছমা খাতুনকে গ্রেপ্তার করে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

মামলা এজাহার ও পরিবারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ত্রিশাল উপজেলার ইউসুফ জামিলের সঙ্গে গফরগাঁও উপজেলার কদম রসুলপুর গ্রামের তামান্না আক্তারের সঙ্গে গত মার্চ মাসে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকে প্রায় সময়ই আরিফ নামের এক ছেলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলত তামান্না। যে কারণে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া লেগে থাকত।

ইউসুফের মা রাশিদা খাতুন বলেন, ছেলের শ্বশুড়বাড়ির লোকজন প্রভাবশালী। পুলিশ মামলা নেয়নি, আদালতে মামলা করেছি। স্ত্রী ও তার পরিবার কৌশলে অপহরণ ও খুন করে লাশ গুম করেছে- তা নাহলে একমাসেও কেন আমার ছেলের সন্ধান পাওয়া যাবে না।

তামান্না আক্তারের মা আছমা খাতুন বলেন, মেয়েকে জামাই বেড়াতে আসার পরদিন সকালে ওষুধ কেনার কথা বলে আমাদের বাড়ির পাশে চারআনি বাজারে যায়। এরপর আর ফিরে আসেনি। মোবাইলে ফোন দেয়ার পর তার নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও আমরা তাকে পাইনি। এ ব্যপারে গফরগাঁও থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ছিদ্দিক জানান, এ ব্যাপারে দুই পরিবারই থানায় দুটি জিডি করার পর স্বামী ইউসুফের মা বাদী হয়ে আদালতে মামলা করলে গত ১ সেপ্টেম্বর তা এজাহারভুক্ত হয়। মামলার তদন্ত চলছে। আশা করি, দ্রুত সময়ের মধ্যে স্বামীকে খুঁজে বের করতে পারব।

(ঢাকাটাইমস/৬সেপ্টেম্বর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :