হায়দরাবাদকে হারিয়ে কলকাতার প্রথম জয়

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৮:০৪
অ- অ+

আইপিএলের শুরুটা একদমই ভাল হয়নি কলকাতা নাইট রাইডার্সের। প্রথম ম্যাচে রোহিতের ব্যাটিং তাণ্ডবে ম্যাচ হারতে হয় দীনেশ কার্তিকের দলকে। দল হিসেবে নিজেদের তুলে ধরতে ব্যর্থ হয় কলকাতা। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াল কলকাতা। শনিবার ১২ বল বাকি থাকতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে সাত উইকেটে হারাল শাহরুখ খানের দল।

শনিবার আবুধাবিতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট নেন হায়দরাবাদ অধিনায়ক ওয়ার্নার। ২০ ওভারে হায়দরাবাদ করেছিল ১৪২ রান। এই রানের পুঁজি সম্বল করে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জেতা কঠিন। প্রথম থেকে যদি বিপক্ষের উইকেট তোলা যায়, তাহলেই এই ধরনের ম্যাচ জেতা সম্ভব। রান তাড়া করতে নেমে খলিল আহমেদের ওভারের দ্বিতীয় বলেই আউট হন সুনীল নারিন। খাতা খুলতে পারেননি তিনি। ইনিংসের শুরুতেই ওভাবে শূন্যে খেলার দরকারই ছিল না নারিনের। কলকাতার রান তখন মাত্র ৬। দলকে বিপদে ফেলে ডাগ আউটে ফেরেন অভিজ্ঞ নারিন।

বাঁ-হাতি নটরাজনের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে ২৬ রানে আউট হন রানা। অন্যদিকে রশিদ খান বল করতে এসেই তুলে নেন দীনেশ কার্তিককে। হঠাৎ চাপ অনুভব করতে শুরু করে কলকাতা। ঠিক এই সময়ে শুভম্যান গিল পরিণতিবোধের পরিচয় দেন। ইয়ন মরগ্যানের সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়েন।

বিপজ্জনক শট খেলার রাস্তায় হাঁটেননি গিল। জানতেন হায়দরাবাদের রান কম, ফোকাস ঠিক রাখতে পারলে ম্যাচ বের করে নেওয়া সম্ভব। সেটাই করলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৭০ রানে অপরাজিত থাকেন শুভম্যান গিল। মরগ্যানও ৪২ রানে অপরাজিত থেকে যান। দুই নাইট ব্যাটসম্যান ৯২ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। তাতেই হায়দরাবাদের হাত থেকে ম্যাচ বেরিয়ে যায়।

ব্যাট হাতে উজ্জ্বল ছিলেন গিল। অন্যদিকে বল হাতে দুরন্ত প্যাট কামিন্স। অজি পেসার এদিন ধরা দেন নিজের পরিচিত ছন্দে। তাঁর দাপটে ভয়ঙ্কর হতে পারেননি হায়দরাবাদের বিপজ্জনক দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও জনি বেয়ারস্টো। কামিন্স বারবার ঝামেলায় ফেলেন তাঁদের। ওয়ার্নার-বেয়ারস্টো শুরু থেকে রুদ্র মূর্তি ধরতে না পারায় হায়দরাবাদও রানের গতি বাড়াতে পারেনি। বেয়ারস্টোকে দুর্দান্ত ডেলিভারিতে বোল্ড করেন কামিন্স। ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন তিনি।

কলকাতার মিস্ট্রি স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী প্রথম একাদশে জায়গা পেয়ে নজর কাড়েন। বিপজ্জনক ওয়ার্নারকে ৩০ বলে ৩৬ রানে আউট করেন বরুণ। ক্যারম বলের গ্রিপে বলটা করেছিলেন তিনি। অভিজ্ঞ ওয়ার্নার সেই ধাঁধা বুঝতে না পেরে আগেই ব্যাট চালিয়ে দেন। সময়ের গোলমালে বরুণের হাতেই ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মারকুটে ওয়ার্নার।

অন্যান্য দলগুলোর মিডল অর্ডারে মারকুটে ব্যাটসম্যান রয়েছে। হায়দরাবাদে নেই সেই ধরনের কেউ। দুই ওপেনার আউট হওয়ার পরে মনিশ পান্ডে ও ঋদ্ধিমান সাহা ইনিংস গোছানোর কাজ করেন। রাসেলের ফুলটসে আউট হন মনিশ পান্ডে। তার আগে ৩৮ বলে ৫১ রান করে যান তিনি। ঋদ্ধির সঙ্গে ৬২ রানের পার্টনারশিপ গড়েন মনিশ। শেষের দিকে রানের গতি বাড়াতে পারেননি ঋদ্ধিমানও (৩০)। সাতজন বোলারকে এদিন ব্যবহার করেন কার্তিক। নাইট বোলারদের দাপটে দেড়শোর থেকে আট রান দূরে থেমে যায় হায়দরাবাদ।

এই রান তাড়া করে জেতা খুব একটা কঠিন ব্যাপার ছিল না। শুরুর দিকে দ্রুত উইকেট হারিয়ে নিজেদের উপরে চাপ বাড়িয়ে ফেললেও তরুণ শুভম্যান গিল ও অভিজ্ঞ মরগ্যানের ব্যাটে ভর করে প্রথম জয়ের স্বাদ পেল কলকাতা।

(ঢাকাটাইমস/২৭ সেপ্টেম্বর/এসইউএল)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
গোপালগঞ্জে বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ৩
কাকরাইল মোড়ে জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা, দুপুরে গণঅনশন
সহকর্মীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার, ক্ষমা চাইলেন অভিনেতা শামীম হাসান সরকার
কমিউনিটি ব্যাংক-অ্যাভিনিউ হোটেল অ্যান্ড স্যুইটস ও পিটাস্টপের সঙ্গে চুক্তি 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা