পৌর নির্বাচন: তানোরে প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু

তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৬ অক্টোবর ২০২০, ১৫:৩০ | প্রকাশিত : ০৬ অক্টোবর ২০২০, ১৫:০৯

চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যে দেশের ২৩৪টি পৌরসভার নির্বাচনের খবর শুনে রাজশাহীর তানোর পৌর শহরে প্রার্থীরা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দল থেকে কুড়িজনের অধিক মেয়র ও শতাধিক কাউন্সিলর প্রার্থী মাঠে নেমে পড়েছেন।

পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে প্রার্থীদের নির্বাচনী তৎপরতা দেখা গেছে। এছাড়াও পৌর শহর ও বিভিন্ন মার্কেটে এবং দোকানে চলছে নির্বাচনী আলাপ-আলোচনা।

নির্বাচন কার্যালয় সূত্র মতে, দেশের ৩০০টি পৌরসভার মধ্যে গত ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর একযোগে ২৩৪টি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে তানোর পৌরসভার কার্যকাল মেয়াদ শেষ দিকে হওয়ায় এটি আগামী নির্বাচনী তালিকায় রয়েছে। ইতোমধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয় ও বিরোধী দলীয় বিএনপির প্রার্থীরা বিভিন্নভাবে তাদের প্রার্থিতার কথা জানান দিয়েছেন। অনেকে ফেসবুকের মাধ্যমে ও পোস্টার লাগিয়ে প্রচারণা শুরু করছেন। অবশ্য প্রার্থীরা পরবর্তীতে নিজ নিজ দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার কথাও বলেছেন।

তানোর উপজেলার দুইটি পৌরসভা। তানোর পৌরসভায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের মধ্যে আছেন রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল বাসার সুজন। বেশ কিছুদিন আগে থেকেই সুজন পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি সাহায্য-সহযোগিতা কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। এছাড়া আছেন তানোর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমরুল হক। তিনি বর্তমান বিএনপির মেয়র মিজানুর রহমান মিজানের কাছে ১৩ ভোটে পরাজিত হন। এছাড়া তানোর পৌর যুবলীগের সভাপতি রাজিব সরকার হিরো, সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি ও পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াজির হাসান প্রতাপ সরকার, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মৃদুল ঘোষ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল হাসানুল কবির (রবিন সরকার), তানোর পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল মালেকও মেয়র পদপার্থী হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

এদিকে তানোর মুন্ডুমালা পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরাও ইতোমধ্যে তাদের প্রার্থিতা জানান দিতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। এর মধ্যে করোনাকালে নিম্নবৃত্ত মানুষের মাঝে বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে চলছেন মুণ্ডুমালা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র প্রার্থী সাইদুর রহমান। এছাড়া মেয়র হিসেবে মুণ্ডুমালা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য গোলাম মোস্তফা, মুণ্ডুমালা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শরিফ খান, উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি আহম্মেদ হোসেন সিজার, জেলা যুবলীগের সহসম্পাদক আরিফ রায়হান তপনও প্রার্থী হবেন।

এদিকে মুণ্ডুমালা পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মোজাম্মেল হক, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ কবিরও প্রবল আগ্রহী প্রার্থী বলে জানা গেছে। এদিকে জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক প্রার্থী হিসেবে মাওলানা আনিছুজ্জামানের নাম শোনা যাচ্ছে। নির্বাচনের আগে আরও প্রার্থীর নাম আসতে পারে বলে পৌরবাসী মনে করছেন।

আগামী পৌর নির্বাচন প্রসঙ্গে উপজেলা আ'লীগ নেতারা জানান, এখন পর্যন্ত কোনো দলীয় নির্দেশনা আসেনি। অনেকে প্রার্থী হতে চাচ্ছেন। তবে কেন্দ্র যেভাবে নির্দেশনা দেবে সেভাবে কাজ করা হবে।

উপজেলা বিএনপি'র নেতারা বলেন, ‘পৌর নির্বাচনের বিষয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত হলে আমরা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে প্রার্থিতার বিষয়টি ঠিক করব।’

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বুলবুল আহম্মেদ বলেন, ‘মেয়াদ শেষ হতে চলা তানোর পৌরসভার বিষয়ে আমার কাছ থেকে কিছু তথ্য নেওয়া হয়েছে। আমরা ভোটার ও ভোটকেন্দ্রগুলোর তালিকা প্রস্তুত করছি। তবে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি। নির্দেশনা পেলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হবে।’

(ঢাকাটাইমস/৬অক্টোবর/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :