গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিনিধির বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ

ভোলা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৩ অক্টোবর ২০২০, ১৭:০১

গ্রামীণ ব্যাংক ভোলা শাখার প্রতিনিধি অনিমেষ চন্দ্র বিশ্বাসের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারিসহ ঘুষ বাণিজ্য ও সহকর্মীদের হয়রানির অভিযোগ ওঠেছে।

মঙ্গলবার ভোলা শহরের একটি পত্রিকা অফিসে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেছেন গ্রামীণ ব্যাংক ভোলা শাখায় কর্মরত প্রায় ২৫-৩০ জন কর্মী। এসময় তারা অনিমেষ চন্দ্র বিশ্বাসের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন, গ্রামীণ ব্যাংক জিন্নাগড় শাখার সেকেন্ড অফিসার ও ভোলা শাখার সভাপতি ইমাম হোসেন।

তিনি জানান, গ্রামীণ ব্যাংক ভোলা শাখার বর্তমান প্রতিনিধি অনিমেষ চন্দ্র বিশ্বাস। তিনি এ শাখার প্রতিনিধির দায়িত্ব পায় ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে। এর কিছু দিন পরেই এক নারী সহকর্মীকে পছন্দের শাখায় বদলির লোভ দেখিয়ে রাতে তার বাসায় যেতে বলে। এবং ওই নারী সহকর্মীকে সে কুপ্রস্তাব দেয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে অনিমেষ ও তার স্ত্রীসহ তৎকালীন জোনাল অফিসার ও অডিট অফিসারের হাতে পায়ে ধরে ওই নারী সহকর্মীর সঙ্গে সমজোতা করেন। এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে সহকর্মীদের থেকে প্রায় তিন লাখ টাকা চাঁদা তুলেন তিনি। পরে সেই টাকা ফেরত দেয়ার কথা থাকলেও তা আজ পর্যন্ত ফেরত দেন নি তিনি।

এছাড়াও ভোলা শাখায় অশোক কুমার দে নামে নতুন ম্যানেজার এলে তাকে ম্যানেজ করে অনিমেষ চন্দ্র সহকর্মীদের বদলি বাণিজ্য শুরু করে। মোটা অংকের টাকা নিয়ে সহকর্মীদের এক শাখা থেকে অন্য শাখায় বদলি করেন।

ইমাম হোসেন আরও জানান, ওই ম্যানেজারের মেয়াদ শেষ হলে মলয় কুমার বিশ্বাস নামে আবার একজন নতুন ম্যানেজার আসেন। তাকেও ম্যানেজ করেন অনিমেষ চন্দ্র। এবং বদলি বাণিজ্য অব্যাহতভাবে চালিয়ে যায়। তার কারণে ভোলায় কর্মরত শাখা ব্যবস্থাপকরা হয়রানির শিকার হচ্ছে। তাদের কেউ ভয়ে মুখ খুলতে পারছেন না।

তিনি আরো জানান, অনিমেষ চন্দ্র ভোলা শাখায় কর্মরত ৬৭ জন সহকর্মীর থেকে গৃহ নির্মাণ লোন পাসের কথা বলে ১০ থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ নিয়েছেন। এছাড়াও সহকর্মীদের পছন্দের শাখায় বদলির কথা বলে ২০ থেকে ৬০ হাজার টাকা ঘুষ নিতেন। এছাড়াও শাখা ব্যবস্থাপকদের ভালো শাখায় বদলির লোভ দেখিয়ে জোনাল ম্যানেজারকে ম্যানেজের কথা বলে দুই লাখ থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নিতেন অনিমেষ।

তার এ সকল দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে মুখ খুললেই তাকে খারাপ জায়গায় বদলিসহ নানা হয়রানি করেন অনিমেষ।

পরে তার এসকল অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে ভুক্তভোগীরা শাখার সভাপতি ও সেক্রেটারির নিকট লিখিত অভিযোগ করেন। সেই প্রেক্ষিতে জোন কমিটি তাকে গত ১০ সেপ্টেম্বর অনাস্থা প্রদানসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানান। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হয়নি। উল্টো যারা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তাদের হয়রানি করেন অনিমেষ।

সম্মেলনে ছিলেন- বেলায়েত হোসেন, শফিক, শহিদুল, ওমর ফারুক খলিফা, আনিস, হেমায়েত, সোহেল, নাজমুল, আলী আকবর, রাসেল প্রমুখ।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য অভিযুক্ত অনিমেষ চন্দ্র বিশ্বাসের মোবাইলে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায় নি।

এ বিষয়ে গ্রামীণ ব্যাংক ভোলা শাখার ব্যবস্থাপক মলয় কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘অনিমেষ চন্দ্র বিশ্বাসের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ এসেছে। আমরা তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা নেব।’

(ঢাকাটাইমস/১৩অক্টোবর/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :