মেসি-পিকের গোলে বার্সার জয়

বার্সেলোনার সঙ্গে ডিনামো কিয়েভের শক্তির তুলনা হয় না। ম্যাচটাও বার্সার ঘরের মাঠে। তারওপর ম্যাচের আগে ৫ জন খেলোয়াড় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সেরা স্কোয়াড নিয়েই ন্যু ক্যাম্পে আসতে পারেনি কিয়েভ। অনুমিতভাবে বার্সাই কিয়েভের ওপর দাপট দেখিয়েছে পুরো ম্যাচে। কিন্তু ম্যাচটা জমিয়ে তুলেছিলেন কিয়েভের ১৮ বছর বয়সী গোলরক্ষক রুসলান নেসচেরেত। দুই অর্ধে লিওনেল মেসি আর জেরার্ড পিকের দুই গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর কিয়েভ এক গোল শোধ করে ম্যাচ জমিয়ে তুলেছিল। এরপর আর কোনো গোল না হলে অবশেষে ২-১ গোলের স্বস্তির জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কোম্যানের ছাত্ররা।
করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারণে বার্সেলোনার বিপক্ষে এই ম্যাচে খেলতে পারেনি কিয়েভের পাঁচজন খেলোয়াড়। সেটার প্রভাব খুব বেশি পড়তে দেয়নি বাকিরা। বলতে গেলে ভালোই লড়াই করেছে কাতালানদের বিপক্ষে। যদিও ম্যাচের শুরুতেই গোল হজম করে ভড়কে গিয়েছিল তারা।
ম্যাচের ৫ মিনিটে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। এ সময় লিওনেল মেসিকে বক্সের মধ্যে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় বার্সা। মেসি পেনাল্টি থেকে গোল করে এগিয়ে নেন দলকে। চ্যাম্পিয়নস লিগে এটি ছিল পেনাল্টি থেকে পাওয়া তারা টানা তৃতীয় গোল। এর আগে ফানেরবাখ ও জুভেন্টাসের বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে গোল করেছিলেন তিনি।
বিরতির পর আনসু ফাতির দুর্দান্ত ক্রস থেকে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন জেরার্ড পিকে। আর ৭৫ মিনিটে কিয়েভের ভিক্টর সাইগানকোভ একটি গোল শোধ দেন। কিন্তু সেটি হার এড়ানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না।
এই জয়ে ‘জি’ গ্রুপ থেকে নকআউট পর্বে প্রায় এক পা দিয়ে রেখেছে বার্সেলোনা। ৩ ম্যাচ থেকে পূর্ণ ৯ পয়েন্ট সংগ্রহ করে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে তারা। সমান ম্যাচ থেকে ৬ পয়েন্ট নিয়ে জুভেন্টাস রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। একটি করে পয়েন্ট সংগ্রহ করে কিয়েভ আছে তৃতীয় স্থানে আর ফানেরবাখ আছে চতুর্থ স্থানে।
(ঢাকাটাইমস/০৫ নভেম্বর/এআইএ)

মন্তব্য করুন