বুদ্ধির জোরে ধর্ষণ থেকে গৃহবধূর রক্ষা

নীলফামারীর ডোমারে চলন্ত অটোরিকশায় গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে চালকসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ডোমার-আমবাড়ী সড়কের ভেলেঙ্গার ডারা এলাকা হতে তাদের আটক করা হয়। রাতেই ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ এনে একটি মামলা করেন।

মঙ্গলবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তাররা হলেন- জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের মফিজপাড়া এলাকার অটোরিকশাচালক কামাল ইসলাম (২০) ও একই এলাকার তার সহযোগী ইউনুস আলী।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকাল চারটার দিকে ওই গৃহবধূ চিলাহাটি মুন্সিপাড়া এলাকার শ্বশুর বাড়ি হতে বাবার বাড়ি নওগাঁ যাওয়ার উদ্দেশ্যে অটোরিকশায় ডোমার স্টেশনে আসেন। শান্তাহার যাওয়ার ট্রেনের খোঁজ নেওয়ার জন্য গৃহবধূ অটোচালক কালামকে স্টেশনে খোঁজ নিতে বলেন। অটোচালক রাত সাড়ে ৮টায় শান্তাহারের ট্রেন আছে বলে তাকে জানায়। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ওই গৃহবধূ টিকেট কাউন্টারে শান্তাহারের একটি টিকেট চাইলে, শান্তাহারের কোন ট্রেন নাই বলে টিকেট কাউন্টার থেকে জানানো হয়। গৃহবধূ সরলমনে ওই অটোরিকশাতেই শ্বশুরবাড়ি ফিরছিলেন। অটোচালক ইতোমধ্যে তার সহযোগী ইউনুসকে নিয়ে ডোমার-আমাবাড়ী সড়কের অন্ধকার নির্জন দিয়ে চিলাহাটি রওনা হয়। কিছুদূর যাওয়ার পর অন্ধকারে একটি স্থানে অটোর ভেতরে ও অটো থেকে টেনে নামিয়ে একটি ক্ষেতে গৃহবধূটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। গৃহবধূ তাদের অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি হয়ে কৌশলে তাদের আবার অটোতে নিয়ে আসেন। কিছুদূর যাওয়ার পর ভেলেঙ্গার ডারা এলাকার রাস্তার পাশে একটি দোকানে কিছু মানুষ দেখতে পেয়ে গৃহবধূ অটো থেকে লাফ দিয়ে চিৎকার করেন। এলাকাবাসী সাথে সাথে তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। রাতেই গৃহবধূ বাদী হয়ে ডোমার থানায় ধর্ষণের চেষ্টার একটি মামলা করেন।

ডোমার থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামিদের ধরে নিয়ে আসি। মঙ্গলবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২৪নভেম্বর/এলএ)