সরকারি ঘর দেয়ার নামে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ
অন্যের বাসা বাড়িতে কাজ করে দুমুঠো ভাত আর সামান্য দুয়েকটি করে টাকা-পয়সা যোগিয়ে সংসার চলে। স্বামী মারা গেছেন প্রায় ২০ বছর আগে। নেই কোনো নিজস্ব জায়গা-জমি। সিংড়া উপজেলার দুর্গম পল্লী গুনাইখাড়া ভাটোপাড়া নারদ নদীর বাঁধে ছোট্ট একটি কুঁড়ে ঘরে বৃদ্ধা ফুল বিবির বসবাস।
সিংড়া সহকারী (ভূমি) কর্মকর্তার কার্যালয়ে একটি আরজি নিয়ে এসেছেন ফুল বিবি। অভিযোগ, এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মেহের আলীর বিরুদ্ধে।
মুজিববর্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য বরাদ্দ দেয়া ঘরের তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির কথা বলে বৃদ্ধা ফুল বিবির কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা পকেটে তুলেছেন হাতিয়ান্দহ ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মেহের আলী। এখন ঘর না পেয়ে টাকা ফেরত চাইলে লাল কালির ফোঁটা দিয়ে দিবে বলে মেম্বার হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ।
ফুল বিবি এই প্রতিবেদককে বলেন, ভূমিহীনদের ঘর পাওয়ার জন্য তিনি মেম্বারকে ১১ মাস আগে ১০ হাজার টাকা দেন। এখন টাকা ফেরত চাইলে কুত্তার মতো তাড়িয়ে ধরে এবং লাল কালির ফোঁটা দিয়ে দিবে বলে মেম্বার হুমকি দিচ্ছেন।
এই রকম অনেকের কাছ থেকেই অর্থ হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। তিনি অভিযোগ করায় বুধবার রাত ৯টায় মেম্বার মেহের আলী গোপনে পাওনা অর্থ ফেরত দেয়ার চেষ্টা করেন। টাকা না নেয়ায় অভিযোগ তুলে নিতে নতুনভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে জানান ফুল বিবি।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মেহের আলী বলেন, আমি কোনো টাকা-পয়সা নেইনি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে হাতিয়ান্দহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাকুর রহমান চঞ্চল বলেন, ঘরের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে এলাকার অনেক ভূমিহীনদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
এ বিষয়ে হাতিয়ান্দহ ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম বলেন, অভিযোগ দেয়ার বিষয়টি তার জানা নেই।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও সিংড়ার ভারপ্রাপ্ত ইউএনও রকিবুল হাসান বলেন, বৃদ্ধা মহিলাটি একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
(ঢাকাটাইমস/৪ফেব্রুয়ারি/কেএম)