ব্যতিক্রমধর্মী ভিশনারি লিডার বেনজীর আহমেদ

হাবিবুর রহমান
| আপডেট : ০৮ এপ্রিল ২০২১, ১৬:০১ | প্রকাশিত : ০৮ এপ্রিল ২০২১, ১৫:৩৭

গত ১৫ দিন রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলাম। কিছু সামাজিক যোগাযোগের সুযোগও হয়েছিল। তাদের মধ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও ছিলেন। তাদের সবাই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন একটা বিষয় নিয়ে: সরকারি একটি হাসপাতাল কিভাবে এত পরিচ্ছন্ন, এত আরামদায়ক হতে পারে, কিভাবে এর সেবা এতটা আন্তরিকতায় পূর্ণ হতে পারে; ইত্যাদি আরো অনেক বিষয় নিয়ে। বিস্মিত হওয়ার পাশাপাশি তারা আন্তরিক কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন, বাংলাদেশ পুলিশের গর্ব - এই হাসপাতালের ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত সবাইকে। তাদের মতামত আর কৃতজ্ঞতাবোধের সাথে আমারও বুকটা গর্বে ভরে ওঠে।

একটু পিছনে ফিরে দেখি। ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) চাকরিজীবনের শুরু থেকেই একজন ব্যতিক্রমধর্মী কর্মকর্তা, ভিশনারি লিডার। বিচক্ষণতা, দূরদর্শিতা, নেতৃত্ব, পেশাদারিত্ব এবং ব্যবস্থাপনা বিষয়ে গুণাবলীর উৎকর্ষে তিনি অনুসরণীয়।

কালের প্রবাহে, খুব স্বাভাবিক নিয়মে, আজ তিনি বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি। ইতিপূর্বে ডিএমপি কমিশনার, ডিজি র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের দায়িত্বে থেকে অনেক জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন, পুলিশ তথা সরকারের ভাবমর্যাদা বৃদ্ধি করেছেন। গত বছর মার্চে যখন করোনাভাইরাস এদেশে তার থাবা বিস্তার করছিল, যখন মৃত্যু প্রতিদিনের সংবাদের প্রধান শিরোনাম, যখন সবাই আতংকে দিশেহারা, যখন মানবতা হারিয়ে গিয়েছিল- সন্তান তার পিতার মৃতদেহ সৎকারে অনিচ্ছা প্রকাশের মতো ঘটনায় সারা দেশ হতবাক; তখন ফিনিক্স রোডের পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে বসে ফিনিক্স পাখির মতো এগিয়ে এলেন ড. বেনজীর আহমেদ। নির্দেশনা দিলেন অধীন ইউনিট ও ইউনিট কমান্ডারদের। জেগে উঠলো বাংলাদেশ পুলিশ, নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে এগিয়ে এলো মানবতার সেবক হয়ে, নির্ভরতার প্রতীক হয়ে উঠলো বাংলাদেশ পুলিশ।

দূরদর্শিতার এক অনন্য নিদর্শন স্থাপন করলেন ড. বেনজীর আহমেদ। নিজ বাহিনীকে সম্মুখ সারির যোদ্ধা বানিয়ে তিনি তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের আধুনিকায়নের ব্যবস্থা করলেন। মার্চ, ২০২০ পূর্বের রাজারবাগ হাসপাতাল আর আজকের রাজারবাগ হাসপাতালের পার্থক্য দেখে যে কেউ বুঝতে পারবেন, অল্প সময়ে কতটা আধুনিকায়ন সম্ভব। বলতে দ্বিধা নেই, ড. বেনজীর আহমেদের নির্দেশনাসমূহ বাস্তবায়নের কারণেই আজ সারা দেশের করোনা রোগীদের প্রথম পছন্দ রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল।

পাশাপাশি আইজিপি মহোদয়ের সুযোগ্য সহযোগী হাসপাতাল পরিচালক ড. হাসানুল হায়দার স্যারের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ্য। তিনি যোগদানের পর থেকেই কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের আধুনিকায়নের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। সেই প্রচেষ্টার ফসল আজকের ‘কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল’। স্যারের দূরদর্শী পরিচালনায় ড. এমদাদ, সুপারিনটেনডেন্ট ড. মনোয়ার এ্যাডিশনাল এসপি শান্তুসহ একঝাঁক তরুণ চিকিৎসক তাদের ব্যবস্থাপনা, সেবা, নার্সিং, পরিচ্ছন্নতা সবাই মিলে যে টিম ওয়ার্ক এর নজির স্থাপন করেছে; তা এক কথায় অভূতপূর্ব ।

ব্যক্তিগতভাবে সকলের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আজ সুস্থ হয়ে আমি হাসপাতাল থেকে ফিরে যাচ্ছি। সাথে নিয়ে যাচ্ছি অসাধারণ কিছু স্মৃতি, সীমাহীন আত্মবিশ্বাস বিশেষ করে দূরদর্শী পুলিশি নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আস্থা।

লেখক: পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের উপ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি)

ঢাকাটাইমস/৮এপ্রিল/এসকেএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফেসবুক কর্নার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :