বিশ্বের গভীরতম মিঠাপানির গুহা

নাঈম লাবিব
 | প্রকাশিত : ১৮ এপ্রিল ২০২১, ১০:১১

বিশ্বের গভীরতম মিঠাপানির গুহাটি চেক প্রজাতন্ত্রে অবস্থিত এবং এর নাম হচ্ছে হারানিস অ্যাবিস। পোলিশ গুহা ডুবুরি কিজিস্তফ স্টারনাওস্কি ২০১৬ সালে একটি দলকে নিয়ে এই গুহার গভীরে যান এবং তারা আবিস্কার করেন এটি কমপক্ষে ১৩২৫ ফুট পানির নিচে ছিল। আর তারা 'কমপক্ষে' শব্দটি যোগ করেছিল কারন এটার গভীরতা ছিল তাদের ডাইভিং এর সরঞ্জাম গুলোর ক্ষমতার বাইরে।

তবে গবেষকরা গুহাটির উপর বেশ কয়েকটি ভৌগোলিক পরীক্ষা চালিয়ে তাদের অনুসন্ধান চালিয়ে গেছেন। তাদের অনুমান অনুযায়ী গুহাটির যে মূল ব্যবস্থাপনা তা কমপক্ষে ৩২৮০ ফুট গভীরতা পর্যন্ত প্রসারিত। তবে এটিও কিন্তু এখন পর্যন্ত একটু অনুমান। সুতরাং এটি ঠিক কতটা গভীর তা এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।

জিওফিজিক্যাল গবেষণা জার্নালে প্রকাশিত একটি আর্টিকেলে তারা এ সম্পর্কে বলেছিলেন এবং তারা এও বলেছিলেন স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত অনুসন্ধান চালিয়ে যেতে থাকবে।

হারানিস অ্যাবিস মূলত চেক প্রজাতন্ত্রের পেরোভ জেলায় অবস্থিত একটি অসাধারণ গুহা। এটি এমন একটি টানেল ব্যবস্থায় তৈরি যা পুরো পৃথিবী জুড়ে প্রসারিত। এ ধরনের টানেলগুলো সাধারণত এসিড বৃষ্টির দ্বারা শিলা ও চুনাপাথর দ্রবীভূত করার মাধ্যমে সময়ের সাথে সাথে গড়ে ওঠে।

২০১৫ সালে ন্যাশনাল জিওগ্রাফি জানিয়েছে যে, 'গুহাটি অম্লীয় ভূগর্ভস্থ জলের ধারা তৈরি হয়েছিল যা পৃথিবীর আচ্ছাদন দ্বারা গভীর ভূগর্ভে অতি উচ্চ তাপপ্রাপ্ত হয়েছিল এবং আগ্নেয়গিরির মতো ছড়িয়ে পড়েছিল এবং অতঃপর নিচ থেকে চুনাপাথর দ্রবীভূত করেছিল।' যদিও এর পূর্বে গবেষকরা এ ধরনের কথাই বলেছিল।

হারানিস অ্যাবিসে করা প্রথম কোন গবেষণা ছিল না এটি। ১৫০৮ সালের এক ঐতিহাসিক প্রতিবেদনের রয়েছে যে, 'কেউ একজন তার ধরে রেখে গুহার গভীরতা পরিমাপ করার চেষ্টা করেছিল। যদিও তিনি কাজটি সম্পন্ন করতে পারেনি, তবে অবশ্যই আরও নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে বিজ্ঞানীরা একসময় এর রহস্য উদঘাটন করতে পারবে।'

অতীতে এসিডিক কার্বন-ডাই-অক্সাইড সমৃদ্ধ জল গুলো ডুবুরিদের সরঞ্জাম এবং ত্বকে বেশ খারাপভাবে প্রভাব ফেলেছিল এবং এ কারণে সেসময় গবেষণা করা ছিল খুবই কষ্টসাধ্য। তবে সর্বশেষ অভিযানে এই সমস্যাগুলোর সমাধান করতে গবেষকরা বেশ কয়েকটি কৌশল ব্যবহার করেছিলেন। এরমধ্যে বৈদ্যুতিক প্রতিরোধ ক্ষমতা টমোগ্রাফি, ভূকম্প পদ্ধতি এবং মহাকর্ষ পরিমাপ ইত্যাদি অন্যতম।

যেহেতু এ কৌশল গুলো পূর্বের থেকে আরো বিকশিত এবং ধারাবাহিকভাবে উন্নতি অব্যাহত রেখেছে, তাই আশা করা যায় খুব দ্রুতই হারনিস অ্যাবিসের প্রকৃত গভীরতা সম্পর্কে আমরা সকলেই জানতে পারব।

ঢাকাটাইমস/১৮এপ্রিল/একে

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :