পর্যটকদের নতুন আকর্ষণ সুনামগঞ্জের চ্যাংবিল
সুনামগঞ্জে টাংগুয়ার হাওর, শহীদ সিরাজ লেক, বারেকটিলা, যাদুকাটা নদী, শিমুল বাগানসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলো দেশবাসীর কাছে খুবই আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন। তেমনি এ জেলায় সীমান্ত ঘেঁষে সারি সারি গাছ, সবুজ কার্পেটের মত ঘাসে ঢাকা সড়ক, ছোট ছোট লেক যেন সুদুর সুইজারল্যান্ডের মতই মন কেড়েছে সবার। ফলে সুইজারল্যান্ড খ্যাত সুনামগঞ্জ জেলার চ্যাংবিলটি পর্যটনে নতুন এক সম্ভাবনার সৃষ্টি করেছে।
জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নে মথুরকান্দি বাজারের পাশেই মেঘালয় পাহাড়ের সীমান্ত ঘেঁষে চ্যাংবিল গ্রামটির অবস্থিত। পুরো গ্রামটাই ছবির মতো সুন্দর। গ্রামটি আকারে ছোট হলেও সৌন্দর্যের জন্য সবার কাছে পরিচিতি পাচ্ছে দিন দিন। এর ফলে প্রতিদিনই বিভিন্ন স্থানের পর্যটকরা আসছেন। সেলফি, সারি সারি গাছ, সবুজ কার্পেটের মত ঘাসে ঢাকা সড়ক, ছোট ছোট লেকের পাশে বসে গল্প আর খুনসুটিতে মেতে উঠেন তারা। চ্যাংবিলের ছোট্ট রাস্তার দুপাশ দিয়ে কখনো সবুজ ধানের ক্ষেত, আবার কখনো টলটলে পানির বিল চোখে পড়বে। এখানকার পরন্ত বিকালে সূর্য ডোবার মুহুর্তে পাহাড়ের গায়ে মিটিমিটি আলো জ্বলতে থাকা বাড়িগুলো দেখে ভিন্ন এক অনুভূতির সৃষ্টি হয়।
জেলা শহর থেকে বেড়াতে আসা শফিকুল ইসলামসহ অনেকেই বলেন, ‘একটু মানসিক প্রশান্তির জন্য এখানে এসেছি। বলতে পারেন, বাড়ির পাশের সুইজারল্যান্ড। এলাকার মানুষ খুবই মিশুক প্রকৃতির। পর্যটকদের সুন্দর জায়গাগুলো দেখিয়ে দেন। চ্যাং বিল খুবই আকর্ষণীয় স্থান না আসলে জানতেই পারতামনা হাতের কাছেই এত সুন্দর জায়গা আছে।’
তাহিরপুর উপজেলা থেকে বেড়াতে আসা সোহানুর রহমান সোহাগ, আসাদুজ্জামান মুন্না বলেন, ‘খুবই ভালো লাগছে এখানে এসে। তবে চ্যাংবিল গ্রামটি একটু প্রত্যন্ত এলাকায় হওয়ার যাতায়াতের খুব বেশি সু-ব্যবস্থা নেই। অথচ পর্যটক ও সৌন্দর্য পিপাসুদের কাছে এর কথা মুখে মুখে রটে যাওয়ায় আসছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা।’
বেড়াতে আসা সোহানুর রহমান সোহাগ জানান, যারা চ্যাংবিল যেতে চান তারা সুনামগঞ্জের আব্দুর জহুর সেতু থেকে বিশ্বম্ভপুর সড়কে দিয়ে যাবেন চালবন্দ পয়েন্টে। সেখানে যাবার আগে ডানদিকে বাগবেড় সড়ক আছে, সেদিক দিয়ে ডুকে যে কাউকে জিজ্ঞেস করবেন, মথুরকান্দি বাজারে যাবো কিভাবে। মথুরকান্দি বাজারের পাশেই চ্যাংবিল অবস্থিত।
সুনামগঞ্জ শহর থেকে সরাসরি কোন মোটরসাইকেল বা সিএনজি যায় না। তাই আব্দুর জহুর সেতু থেকে রিজার্ভ করে নিয়ে যেতে হবে চ্যাংবিলে। মোটরসাইকেলে জনপ্রতি ভাড়া নেবে ১০০ টাকা, সিএনজিতে গেলে ৪০০ টাকা।
(ঢাকাটাইমস/২২মে/পিএল)