রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য ড. হাসিবুর রশীদ
রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন (ভিসি) ড. মো. হাসিবুর রশীদ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কোষাধ্যক্ষ। হাসিবুর রশীদ বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ’র স্থলাভিষিক্ত হবেন।
বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে তাকে বেরোবির নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মাহমুদুল আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর আইন ২০০৯ এর ধারা ১০ (১) অনুসারে হাসিবুর রশীদকে চার বছর মেয়াদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
উপাচার্য পদে হাসিবুর রশীদ তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন ভাতা পাবেন। আগামী ১৪ জুন এ আদেশ কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০১৭ সালের ১ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে চার বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, চলতি বছরের গত ৩১ মে ড. কলিমউল্লাহর চার বছরের মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে। এরপরও তিনি অনেক ফাইলে স্বাক্ষর করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এমনকি কিছু ফাইল পূর্বে তারিখ দেখিয়েও স্বাক্ষর করেছেন। চার বছর উপাচার্য পদে থাকার পরও জোরপূর্বক পদে থেকে বিভিন্ন ফাইল স্বাক্ষর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবিধা গ্রহণ করেছেন, যা বেআইনি ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ’র টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। গত ২০ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. ওয়াজেদ রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের পিএইচডি গবেষক রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-১ এর বিশেষ পিপি খন্দকার মো. রফিক হাছনাইন ইউজিসি চেয়ারম্যান ও দুর্নীতি দমন কমিশনে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এছাড়া রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি ১০ তলা ভবন ও একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণে উপাচার্যের অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ার কথা জানায় ইউজিসি। এ বিষয়ে উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কমিশনের তদন্ত দল সুপারিশ করেছে বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছে। এছাড়া অধ্যাপক কলিমুল্লাহর বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার ৪৫টি অভিযোগও তদন্তের উদ্যোগ নেয় ইউজিসি।
কলিমুল্লাহর বিরুদ্ধে এমন কর্মকাণ্ড আলোচনায় আসলেও তিনি তা অস্বীকার করেন। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয় নিয়ে রংপুর থেকে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করেন কলিমুল্লাহ। এটিকে মিথ্যা সংবাদ আখ্যা দিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করতে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
ঢাকাটাইমস/০৯জুন/কারই/এমআর