ভারতে নারী পাচারের অভিযোগে র্যাবের হাতে দুজন ধরা

ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের গাইনপাড়া গ্রামের দিনমজুর আজিজুল ইসলামের দুই মেয়ে কুলছুমা খাতুন (২০) ও সুমাইয়া খাতুন (১৮)কে ভারতে পাচারের ঘটনায় ময়মনসিংহ র্যাবের অভিযানে মূল দুই হোতাকে গ্রেপ্তার হয়েছে। শনিবার ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ এর সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে এ গ্রেপ্তারের ঘটনা নিশ্চিত করেন।
র্যাব জানায়, গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে নারী পাচারকারী চক্রের মূল পরিকল্পনাকারী কথিত স্বামী ইউসুফ মিয়াকে (৩২) শুক্রবার রাতে ময়মনসিংহের ঈশ^রগঞ্জ বালিহাটা কান্দাবাড়ি এলাকা থেকে ও অপর অভিযুক্ত রব্বিল শেখকে রাত দেড়টার দিকে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় রাব্বিল শেখের নিকট থেকে স্বর্ণালঙ্কার ও দুই লক্ষ চব্বিশ হাজার চারশত পাঁচ টাকা উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের প্রাথমিক তদন্তে মানব পাচারের সাথে সম্পৃক্ত রব্বিল শেখের বিভিন্ন সময়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। রাব্বিল শেখ নড়াইল জেলার কালিয়া থানার পেড়লী গ্রামের মসলেম শেখের ছেলে।
এ ঘটনায় গত ৫ জুন গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানায় একটি মানবপাচার মামলা করা হয়।
উল্লেখ্য, কথিত স্বামী ইউসুফ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে কুলছুমাকে বিয়ে করে। বিয়ের দুই মাস পর গত মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে কুলছুমা ও সুমাইয়াকে ইউসুফ ও সুজন টিকটক ভিডিও নির্মাণ ও ভাল চাকরির লোভ দেখিয়ে জীবননগর সীমান্ত দিয়ে ভারতে নিয়ে যায়। সেখানে দুই বোনকে তিন লাখ টাকায় পশ্চিমবঙ্গের রানাঘাট এলাকায় নারী ব্যবসায়ী চক্রের কাছে বিক্রি করে দেয়। অভিযোগ রয়েছে, সেখানে তাদের ভয়ভীতি ও মারধর করে পশ্চিমবঙ্গের দিঘা এলাকায় আবাসিক হোটেলে দেহ ব্যবসা করানো হতো।
গত ১৬ মে এই চক্রকে ফাঁকি দিয়ে দুই বোন পালিয়ে যায়। পরে গত ১৭ মে কুলছুমা আক্তর হাওড়া স্টেশন এলাকায় পুলিশের হাতে আটক হয় ও ছোট বোন সুমাইয়া গত ২১ মে ভারতের বোঝাপড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টাকালে বিএসএফের হাতে গ্রেপ্তার হয়।
(ঢাকাটাইমস/১২জুন/এলএ)

মন্তব্য করুন