দুস্থদের তালিকায় ইউপি সদস্যের মা-স্ত্রী

হুমায়ুন কবীর, নড়াইল
  প্রকাশিত : ২৬ জুলাই ২০২১, ১৪:৩১| আপডেট : ২৬ জুলাই ২০২১, ১৫:০৮
অ- অ+

নড়াইল সদর উপজেলার কলোড়া ইউনিয়নে করোনাকালে সরকারের দেওয়া নগদ অর্থ বিতরণে দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য প্রকাশ বিশ্বাস নিজের স্ত্রী, মা, ভাই, মামাত ভাই, শ্যালিকাসহ অনেক স্বজনের নাম তালিকাভুক্ত করে এবং ভুয়া টিপসই দিয়ে অন্যদের টাকাও উত্তোলন করে নিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কলোড়া ইউনিয়নে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে দরিদ্র ও দুস্থ ৩৫৬ পরিবারের মাঝে নগদ ১ হাজার টাকা করে বিতরণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ জন্য কলোড়া ইউপি চেয়ারম্যান সকল ওয়ার্ড সদস্যদের যথাযথ নিয়ম মেনে নিজ নিজ এলাকার উপযুক্ত ব্যক্তিদের তালিকা দিতে বলেন। ৭নং ওয়ার্ড মেম্বর প্রকাশ বিশ্বাস সেই তালিকা করতে গিয়ে নিজ পরিবারের সদস্যসহ দিয়েছেন আত্মীয়-স্বজনদের নাম। এ ছাড়াও তালিকাভুক্ত একাধিক ব্যক্তির নামে বরাদ্দ হওয়া টাকা নিজস্ব লোকদের মাধ্যমে টিপ দিয়ে তুলে নিয়েছেন। যে কারণে এলাকার অনেক অসহায় হতদরিদ্র এই নগদ অর্থ সহায়তা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, প্রকাশ মেম্বারের দেওয়া তালিকায় রয়েছে ধনী ব্যক্তিদের নাম। নগদ টাকা বিতরণের তালিকায় ২৮৬ নম্বরে রয়েছে জয়ন্তি বিশ্বাস। তিনি প্রকাশ মেম্বরের স্ত্রী। তালিকার ২৮৯ নম্বরে তার মা স্মৃতি বিশ্বাস, ২৭৪ নম্বরে ভাই বিকাশ বিশ্বাস এবং ২৮৬ নম্বরে আরেক ভাই প্রভাত বিশ্বাস। এছাড়া তালিকায় আছেন তার শ্যালিকা শান্তি বিশ্বাস, মামাতো ভাই শেখর বিশ্বাস ও মধুসূদন বিশ্বাস। বিশেষ সম্পর্কের সুবাদে তালিকায় আছেন সচ্ছল শিল্পী বৈরাগী ও তার স্বামী নিত্যানন্দ বৈরাগী।

এর পাশাপশি গোয়ালবাড়ি গ্রামের শ্রীকান্ত বিশ্বাস ও আলোমতি রানীর নামের টাকা অন্যদের হাতের টিপ দিয়ে উত্তোলন করে নেওয়া হয়েছে। অথচ তারা জানেন না, তাদের নামে টাকা এসেছে।

তবে প্রকাশ মেম্বার নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, ‘তালিকা তৈরি করতে গিয়ে কিছু ভুল হতে পারে।’ তালিকায় নিজ স্ত্রী, মা, ভাইদের নাম থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন।

কলোড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্বাচ আলী সরদার বলেন, ‘প্রকাশ মেম্বার যদি তালিকায় দুর্নীতি করে থাকেন বা কারো নামে টাকা তুলে নেন সে দায় তার। এজন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’

এ বিষয়ে জানার জন্য নড়াইল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া ইসলামকে রোববার সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটে মুঠোফোনে কল দিলে প্রথমবার তিনি রিসিভ করেননি। দ্বিতীয়বার কল দিলে তিনি কেটে দেন। এ কারণে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

(ঢাকাটাইমস/২৬ জুলাই/পিএল)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
পল্লীবন্ধু এরশাদ চিরকাল মানুষের হৃদয়ে কণক প্রদীপ হয়ে জ্বলবেন
চাঁদা না দেওয়ায় পল্লবীতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলা, গুলিবর্ষণ: গ্রেপ্তার ৩
ছন্দে ফিরলেন লিটন, সমতায় ফিরল টাইগাররা
১২ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১০৭ কোটি মার্কিন ডলার
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা