ওজন কমাতে ডায়েটে রাখুন স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ০৩ আগস্ট ২০২১, ১০:৩৪
অ- অ+

করোনাকালে লকডাউনে ঘরে বসে অনেকেরই ওজন বেড়েছে। ঘরের চার দেয়ালে বন্দি হয়েছেন অনেকেই। ঘরে বসে প্রায়ই এটা সেটা মুখরোচক স্ন্যাকস, ঘন ঘন চা, কফি খাচ্ছেন অনেকেই। ওদিকে পাল্লা দিয়ে পেটের মেদ এবং ওজনও আকাশ ছুঁই ছুঁই করছে। সুস্থ থাকতে সঠিক ওজন ধরে রাখা এবং অতিরিক্ত ওজন কমানোর কোন বিকল্প নেই। তবে ওজন কমানো একটি কঠিন কাজ। কিন্তু এর জন্য যা দরকার তা হল সচেতনতা। ডায়েট এবং ওয়ার্কআউট কেবল ওজন কমানোর লক্ষ্য হওয়া উচিত বলে । স্ন্যাকিংয়ের ক্ষেত্রে কয়েকটি কৌশল জেনে রাখুন।

শরীরের ওজন কমানোর চেষ্টা করার সময় বেশিরভাগ মানুষ স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস বেছে নেয়, যা একটি ভালো জিনিস। তবে তা অতিরিক্তভাবে করছেন কিনা খেয়াল রাখুন, যেকোনও জিনিসের অতিরিক্ত খাওয়া-সালাদ বা পুষ্টিকর বাদাম ভর্তি বাটি-ক্ষতিকারক হতে পারে।

স্ন্যাকসের থেকে লোভ সরাতে হবে, উচ্চ-ক্যালোরিযুক্ত খাবার এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। স্ন্যাক্সের বিকল্প কিছু খান যা স্বাস্থ্যকর এবং সন্তোষজনক।

খিদে না পেলেও অনেকের খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। ওজন কমাতে গেলে এই এই অভ্যাস বর্জন করুন। আত্ম-তৃপ্তির কারণে প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার খাবেন না এমনটাই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

ওজন কমানোর চেষ্টা করলে একটা অভ্যাস তৈরি করে ফেলুন, সবার সঙ্গে ভাগ করে স্ন্যাকস খান তাতে ওজন কমার সম্ভাবনা থাকে।

যখন আপনি ওজন কমানোর চেষ্টায় রয়েছেন, সেই সময় যে কোনওরকমের স্ন্যাকস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকুন, তেলে ভাজা বা চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট ও চিনি খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিন। কোনটি ভালো মানের কার্বোহাইড্রেট এবং কোনটি খারাপ সে সম্পর্কে ধারণা থাকা খুব জরুরি।

সাদা আটার রুটি, পাউরুটি অথবা মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন- মিষ্টি বিস্কুট, কেক, ডোনাট, ফাস্টফুড ইত্যাদি আপনার ওজন বৃদ্ধিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। রিফাইন ছাড়া জটিল কার্বস এবং আঁশজাতীয় খাবার গুলো হজম হতে সময় লাগে, দীর্ঘক্ষণ আপনার পেট ভরা রাখতে এবং আপনার বারবার খাওয়ার ইচ্ছে কে নিয়ন্ত্রণে রাখার মাধ্যমে ওজন কমাতে সাহায্য করে।

ওজন কমানো এবং নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য হাইড্রেটেড থাকাটা খুব জরুরি। বারবার পানি পান করলে ক্ষুধা কম লাগা, স্ন্যাকস জাতীয় খাবার স্নাকস খাওয়ার ইচ্ছা কমে যাওয়া সহ আপনার হজমে সহায়তা করে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। এর ফলে আপনার কিডনি, ত্বক ও চুলও ভালো থাকে।

স্ন্যাকসে এমন খাবার পছন্দ করবেন যাতে প্রোটিন, ফ্যাট বা ফাইবার থাকে। এই উপাদান সমৃদ্ধ খাবার হজম হতে সময় নেয়। ফলে অনেকক্ষণ ক্ষুধা পাবে না।

দিনে দুইবার স্ন্যাকস খেতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন ২০০ ক্যালোরির বেশি যেন না হয় কোনও স্ন্যাকস। ডায়েটে কিছু স্বাস্থ্যকর ও ওয়েটলস ফ্রেন্ডলি স্ন্যাকস রাখতে পারেন যেমন- বাদাম মিক্সড, গ্রিক দই ও মিক্সড বেরি, পনির, ডার্ক চকোলেট ও আমন্ড,টমেটো ও মোজারেলা চিজ, ডিম, পপকর্ন, ছোলা জাতীয় স্ন্যাকস খেতে পারেন। ওজন বাড়ার চিন্তা না করে স্বচ্ছন্দ্যে খেতে পারেন এগুলো।

(ঢাকাটাইমস/৩আগস্ট/আরজেড/এজেড)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
সংস্কার করে তারপরেই নির্বাচন দিতে হবে: নাহিদ ইসলাম
বনানীতে সড়ক অবরোধ সিএনজি অটোরিকশা চালকদের, তীব্র যানজটে দুর্ভোগ
আজ থেকে সারা দেশে চিরুনি অভিযান শুরু
সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসির ক্ষমতা আরও ২ মাস বাড়লো
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা