বাঁশখালীতে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ মেরামত

মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম)
  প্রকাশিত : ০৩ আগস্ট ২০২১, ১১:১৮
অ- অ+

একদল কোদাল দিয়ে মাটি কাটছেন, আরেক দল সেই মাটি হাতে নিয়ে ভাঙা বেড়িবাঁধে ফেলছে। জোয়ারের পানি থেকে খেতের ফসল ও বসতভিটা নিরাপদ রাখতে এভাবেই বেড়িবাঁধ রক্ষায় আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন চট্টগ্রামের বাঁশখালীর ছনুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দারা।

রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সরেজমিনে ছনুয়া ছেলবন গ্রামে জলকদর খালের বেড়িবাঁধ এলাকায় এ দৃশ্য দেখা গেছে। ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে লবণাক্ত পানি ঢোকা বন্ধে স্থানীয় বাসিন্দারা স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ মেরামতের কাজ করে যাচ্ছেন।

এলাকাবাসী জানায়, বাঁশখালীর উপকূলীয় এলাকা ছনুয়া ইউনিয়নে লবণের মাঠে চলতি বর্ষা মৌসুমে লবণাক্ত ও খরা সহিষ্ণু ধানের চাষ করা হয়েছে ব্যাপকভাবে। কিন্তু ছনুয়া ছেলবন গ্রামে জলকদর খালের বেড়িবাঁধ ভেঙে লোনা পানি প্রবেশ করছিল। এ অবস্থায় বাঁধ রক্ষা করা না গেলে লবণাক্ত পানি প্রবেশ করে সদ্য রোপনকৃত ধানের চারা গাছ নষ্ট হয়ে যাবে। এছাড়া বেড়িবাঁধটি দিয়ে মানুষজন যাতায়াতও করে থাকেন।

ছেলবন গ্রামের বাসিন্দা মো. জকরিয়া বলেন, ‘অতি বৃষ্টির কারণে কাদাযুক্ত হয়ে ছোট-বড় গর্ত হয়ে চলাচলের প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে বেড়িবাঁধ। বৃষ্টির পানিতে পার্শ্ববর্তী জলকদর খালে পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে লবণাক্ত পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে আগের তুলনায় বেশি।

স্থানীয় বাসিন্দা ও কলেজছাত্র কায়সার হামিদ বলেন, ‘যুগ যুগ ধরে অবহেলিত আমাদের গ্রাম। এখানে দিনমজুর লবণ চাষীরা জীবিকা নির্বাহ করতে বর্ষাকালে অনেক কষ্টের বিনিময়ে ধান চাষ করেন। সেই ধানের চারা যদি লবণাক্ত পানির কারণে নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে তো নিজেদেরই ক্ষতি। তাই এ ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য স্থানীয়দের এমন উদ্যোগ।’

এ বিষয়ে ছনুয়া ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল আবছার সিকদার ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আজ থেকে ১০-১৫ দিন আগে ছনুয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা এই বেড়িবাঁধটি পরিদর্শনে এসেছিলেন। কিন্তু এরপর থেকে কোন অগ্রগতি দেখলাম না।’

জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রকাশন চাকমা বলেন, ‘আমাদের কর্মকর্তারা জোয়ারের পানি ঠেকাতে কাজ করে যাচ্ছেন। সবাই মাঠে রয়েছেন। ছনুয়াসহ বাঁশখালীর কিছু কিছু এলাকায় বেড়িবাঁধ টপকে জোয়ারের পানি ঢুকেছে। বিষয়টি ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’

বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাঈদুজ্জামান চৌধুরী ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘স্বেচ্ছাশ্রমে বেড়িবাঁধ মেরামতের কোনো তথ্য আমার কাছে নেই। ছনুয়ার চেয়ারম্যানের সাথে কিছুক্ষণ আগেও আমার কথা হয়েছে। কিন্তু তিনি এ বিষয়ে আমাকে কিছু জানাননি। আমি এই বিষয়ে খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’

(ঢাকাটাইমস/৩ আগস্ট/পিএল)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
১২ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১০৭ কোটি মার্কিন ডলার
নিবন্ধন স্থগিত হলেও ইসির তফসিলে থাকছে ‘নৌকা’, অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে না ‘শাপলা’
ঋণের টাকার চাপে গৃহবধূর আত্মহত্যা
তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়োগে বিএনপির নতুন প্রস্তাব
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা