খুসখুসে কাশির সমস্যায় ঘরোয়া টোটকা

স্বাস্থ্য ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ০৭ আগস্ট ২০২১, ১০:০৮
অ- অ+

মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। মানুষের মধ্যে করোনার আতঙ্ক আর উদ্বেগের মধ্যে করোনার লক্ষণের মতোই মৌসুমী পরিবর্তনের ফলে শুকনো কাশি দেখা দিচ্ছে। সেই সঙ্গে জ্বর-সর্দি-কাশির প্রভাবে আশঙ্কা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। জ্বর বা সর্দি কয়েকদিন পরে কমে যায়, কিন্তু কাশি সহজে কমে না। কারও কারও কাশিতে প্রচণ্ড শ্লেষ্মা থাকে, আবার কারও শুকনো কাশি হয়। শ্লেষ্মাযুক্ত কাশি বাচ্চাদেরও হতে পারে, সেক্ষেত্রে শ্বাসনালীতে সংক্রমণ হয়েছে কি না দেখতে হবে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তবে এই কাশির চেয়েও সম্ভবত বেশি কষ্টকর খুসখুসে কাশি বা শুকনা কাশি।

ব্রঙ্কাইটিস বা অ্যালার্জির কারণে এই ধরনের শুকনা কাশি হতে পারে। অনেক সময় কোনও ঠান্ডা লাগা ছাড়াই কাশি শুরু হয়ে যেতে পারে। সেই ক্ষেত্রে এমনও হতে পারে খাবার ঠিকমতো হজম না হওয়ার জন্য শুকনা কাশি হচ্ছে। যাদের হাঁপানির সমস্যা রয়েছে, তাদেরও বর্ষার মরসুমে সতর্ক হওয়া দরকার, কারণ শুকনা কাশি হওয়ার ঝোঁক এদের সবচেয়ে বেশি।

গরম লাগলেও ঠান্ডা পানীয়তে গলা ভেজাবেন না। এতে হয়তো সাময়িকভাবে গরম কমবে, কিন্তু পরে কাশি বাড়ার আশঙ্কা থাকবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খান। অতিরিক্ত মশলাদার খাবার খাবেন না, কারণ এতে কাশির বেগ আরও বাড়তে পারে। অত্যধিক চা বা কফি খাওয়ার অভ্যেস থাকলে সেটা কমান।

কাশি কমানোর ঘরোয়া টোটকা

গলায় ব্যথা ও কাশি কমাতে আদা খুবই উপকারি। মিউকাসের জন্য গলা খুসখুস করে আর এই খুসখুসে কাশি দূর করতে আদা কার্যকরী। ছোট একটি আদার টুকরো মুখে রেখে দিসে কাশি কমবে। এ ভাবে না খেতে পারলে চা বানানোর সময় আদা দিয়ে দিন।

কাশি কমাতে প্রতিদিন ১ চামচ মধু খান। মধুতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান, যা সংক্রমণ কমায়।

যষ্টি মধুর অনেক গুণ রয়েছে। পানি দিয়ে ভালোভাবে যষ্টি মধু ফুটিয়ে নিন। এর মধ্যে মধু, লেবুর রস মেশান। তারপর সব উপাদান একসাথে মিশিয়ে ফুটান।

পানি গরম করে এর মধ্যে এক চিমটি লবণ দিন। তারপর ৩০ সেকেন্ড ধরে গার্গল করুন।

আনারসে এমন একটি উপাদান থাকে, যা গলায় জমে থাকা মিউকাসকে পরিষ্কার করে। এই মিউকাসের জন্যই সাধারণত কাশি হয়। আনারসের এই উপাদানের নাম ব্রোমেলাইন। এটি শুধু আনারসেই মেলে।

সর্দি, কাশি এবং ঋতু পরিবর্তনের জ্বর থেকেও মুক্তি দিতে পারে ছোট এলাচ৷ অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ভরা এলাচ জীবানুনাশকও৷ গলা ব্যথা এবং শুকনো কাশি হলে চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে এলাচকে কাজে লাগান৷ এমনকী ক্লান্তি দূর করতেও এলাচ দেওয়া চায়ের জুড়ি মেলা ভার৷ ছোট এলাচ মুখে রাখলেও শুকনো কাশির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব৷

রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করতে তুলসি অনেক উপকারী। তুলসিতে ভিটামিন সি ও জিঙ্ক রয়েছে যা ইনফ্লুয়েঞ্জা ও শুকনো কফ কমাতে জাদুকরী ভূমিকা পালন করে।

কাশি দূর করতে রসুনও কার্যকরী। রসুনে অ্যালিসিন নামের একটি উপাদান আছে যা জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করে, ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করে তার বৃদ্ধি আটকায়। রসুন শুষ্ক কাশি কমাতে খুবই দরকারী। খাওয়ার সময়ে শুরুতে একটু গরম ভাতে তেলে ভিজিয়ে রাখা রসুন চটকে খেয়ে নিন। দেখবেন বেশ কয়েক দিন খেলে উপকার পাবেন।

(ঢাকাটাইমস/৭আগস্ট/আরজেড/এজেড)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
একই ঘটনায় ঢাকা ও চট্টগ্রামে মামলা: কার চাপে মামলা নিল খুলশী থানা?
সংস্কারের কথা সবার আগে আমরাই বলেছি: মির্জা ফখরুল
গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় জনতা ব্যাংকে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত
আন্তর্জাতিক এমএসএমই দিবস উদযাপন করল শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা