কওমি মাদ্রাসা খুলে দিতে সরকারের ‘আশ্বাস’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২৫ আগস্ট ২০২১, ১৮:২৯
অ- অ+
ফাইল ছবি

করোনা মহামারির কারণে কয়েক মাস ধরে বন্ধ থাকা মাদ্রাসা খুলে দেওয়ার ব্যাপারে সরকারের আশ্বাস পাওয়ার কথা জানিয়েছে কওমি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বুধবার বৈঠক করে। সেই বৈঠকে এই আশ্বাস দেওয়া হয়।

বুধবার দুপুর ২টায় আল-হাইআতুল উলয়া চেয়ারম্যান ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সভাপতি আল্লামা মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে আটজনের একটি প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার সচিবালয়ের কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। তারা সরকারের কাছে কওমি মাদ্রাসাগুলো খুলে দেওয়ার জোর দাবি জানান।

গত বছর ৮ মার্চ দেশে করোনা মহামারির সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কওমি মাদ্রাসাও বন্ধ হয়ে যায়। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ নির্দেশনায় গত বছর সেপ্টেম্বরে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। চলতি বছরের মার্চে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কওমি মাদ্রাসাও বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় সরকার।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে আল্লামা মাহমুদুল হাসান বলেন, কওমি মাদ্রাসাগুলোতে কুরআন-হাদিসভিত্তিক শিক্ষাকার্যক্রম চালানো হয় এবং কুরআন তেলাওয়াত, জিকির, দোয়া, তাহাজ্জুদ ও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে মহামারি ও বালা-মসিবত থেকে মুক্তির জন্য বিশেষভাবে মোনাজাত করা হয়। এর মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে জাতি করোনাসহ সবরকম বালা-মসিবত থেকে পরিত্রাণ পেতে পারে। মাদ্রাসাগুলো বন্ধ থাকায় মহান আল্লাহর দরবারে সম্মিলিত ও ব্যাপক দোয়া ও কান্নাকাটিও বন্ধ হয়ে আছে।

মাহমুদুল হাসান বলেন, প্রায় দেড় বছর হতে চলল সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষার্থীরা অহেতুক ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। পারিবারিক ও সামাজিক অবক্ষয় দেখা দিচ্ছে। এই অবস্থায় সার্বিক বিবেচনায় সারাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

জবাবে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে অতি দ্রুত হিফজ ও মক্তব বিভাগ খুলে দেওয়া হবে এবং পর্যায়ক্রমে সারাদেশের কওমি মাদ্রাসা ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালুর আশু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

আল্লামা মাহমুদুল হাসান যেসব আলেম-উলামা, মাদ্রাসার ছাত্র ও ধর্মপ্রাণ মুসলমান জেলখানায় বন্দি আছেন তাদের দ্রুত মুক্তি দেওয়ার এবং যারা আত্মগোপনে আছেন বা হয়রানির শিকার তাদের হয়রানি বন্ধের জোর দাবি জানান।

জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আলেম-উলামাদের অনেককে জামিন দেওয়া হচ্ছে। এ সময় মাহমুদুল হাসান জামিনের প্রক্রিয়া আরও দ্রুততর করার দাবি জানান।

প্রতিনিধি দলের আল-হাইআতুল উলয়া ও বেফাকের অন্য সদস্যরা হলেন, মাওলানা নূরুল ইসলাম, আল্লামা আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা মাহফুজুল হক, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মুফতি নূরুল আমীন, মুফতি মোহাম্মদ আলী এবং মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ।

(ঢাকাটাইমস/২৫আগস্ট/জেবি)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
৭ জেলায় দুপুরের মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড় ও বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস
রংপুর-৪ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আখতার হোসেন
আমুর মুক্তির দাবিতে মিছিলে অংশ নেওয়ায় ছাত্রলীগ নেতা হাসানুল বারী গ্রেপ্তার
শাহজালালে লাগেজ ট্রলির আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত বিমানের বোয়িং ৭৩৭
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা