মা-ছেলেকে অপহরণ: পুলিশের সোর্স পলাশের স্বীকারোক্তি
দিনাজপুরে মা-ছেলেকে অপহরণ এবং মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় আটক পুলিশের সোর্স সফিউল আলম পলাশকে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের সিআইডির একজন এএসপি ও সিআইডি’র অপর দুইজন সদস্যসহ ১০ জনকে আসামি করে করা মামলাটি চিরিরবন্দর থানা থেকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) বুধবার রাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মামলাটিতে সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবীরসহ চারজনকে বুধবার কারাগারে পাঠানো হলেও সোর্স সফিউল আলম পলাশ বৃহস্পতিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রংপুর সিআইডির কাছে পলাশ নামে এক ব্যক্তি চিরিরবন্দর থানার লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকার প্রতারণার অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় লুৎফরের বাড়িতে যান এএসপি সারোয়ার কবিরসহ তিনজন। লুৎফরকে না পেয়ে তার স্ত্রী ও ছেলেকে একটি কালো মাইক্রোবাসে উঠিয়ে সৈয়দপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে মুক্তিপণ দাবি করেন। তারা পরিবারের লোকজনকে ফোন করে ১৫ লাখ টাকা দাবি করেন। পরে এ ঘটনায় থানা পুলিশের কাছে যান ভুক্তভোগীর স্বজনরা।
একপর্যায়ে গত মঙ্গলবার বিকালে ভুক্তভোগীর স্বজনরা সাড়ে আট লাখ টাকা নিয়ে তাদের সঙ্গে দেখা করতে চান। তারা প্রথমে রানীরবন্দর আসতে বলেন। সেখানে গেলে তাদেরকে টাকা নিয়ে দশমাইল যেতে বলা হয়। আবার দশমাইল গেলে বাশেরহাট যেতে বলা হয়। পরে দিনাজপুর জেলা পুলিশ ও সিআইডি মিলে বাশেরহাট থেকে তাদের আটক করে। আটকের পর প্রথমে চিরিরবন্দর পরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
মা ও ছেলেকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় আটক সিআইডি পুলিশের এএসপি সারায়ার কবীর, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসান উল ফারুক ও মাইক্রোবাসের চালক হাবিব মিয়াকে বুধবার বিকালে কারাগারে পাঠানো হয়। সোর্স সফিউল আলম পলাশকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে জিম্মায় নেয় ডিবি পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালে কঠোর নিরাপত্তায় দিনাজপুর চিফ জুডিসিয়াল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি শেষে কারাগারে পাঠানো হয় সোর্স সফিউল আলম পলাশকে।
ঢাকাটাইমস/২৬আগস্ট/প্রতিনিধি/এমআর