বাংলাদেশ দ্রুতই টিকা পাবে, আশ্বাস ভারতীয় হাইকমিশনারের

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা দ্রুতই আবার বাংলাদেশ পাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দুরাইস্বামী। তবে কবে নাগাদ টিকা আসতে পারে সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট করে কোনো কিছু জানাতে পারেননি তিনি।
বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাওয়ার পথে সীমান্তের শূন্যরেখায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে হাইকমিশনার এই কথা বলেন।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ‘ভারতে টিকা উৎপাদন বেড়েছে। বর্তমানে ভারত থেকে বাংলাদেশে অক্সিজেন ও এর সরঞ্জাম সরবরাহ করা হচ্ছে। আশা করছি দ্রুত টিকাও সরবরাহ করা যাবে।’
গত বছরের শেষ দিকে সেরামের কাছ থেকে মোট ছয়টি চালানে তিন কোটি ডোজ টিকা কেনার চুক্তি করে বাংলাদেশ। চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ পেয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় চালানে ফেব্রুয়ারিতে মাত্র ২০ লাখ ডোজ আসে। তৃতীয় চালানের ৫০ লাখ ডোজ টিকা মার্চের শেষ সপ্তাহে দেশে আসার কথা থাকলেও দ্বিতীয় চালানের পর সেরামের কাছ থেকে আর কোনো টিকা পাওয়া যায়নি। ভারতে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেয় দেশটি। এতে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। আমেরিকা, চীনসহ বিভিন্ন বিকল্প উৎস থেকে পাওয়া টিকা দিয়ে এখন থেমে থেমে চলছে টিকাদান কর্মসূচি।
ভারতীয় হাইকমিশনার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির কারণে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মাণ কাজে কিছুটা দেরি হচ্ছে। তাছাড়া কিছু আর্থিক সমস্যাও রয়েছে। ভারতের অংশের কাজ এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশ অংশে কিছু কাজ বাকি আছে। আশা করি আগামী বছরের প্রথম ২/৩ মাসের মধ্যে রেলপথ নির্মাণ শেষ হয়ে যাবে।’
বিক্রম দুরাইস্বামী বলেন, ‘সড়কপথ ভালো করা, রেলপথ মজবুত করা এবং নৌপথ ব্যবহারের জন্য দুই দেশের মধ্যে কাজ চলছে। এসব কাজ শেষ হলে দুই দেশই উপকৃত হবে।’
ভারতীয় হাইকমিশনার আরও বলেন, ‘গত চার মাসে ভারত-বাংলাদেশের বাণিজ্য বেড়েছে। রেলের মাধ্যমে মালামাল আনা-নেওয়া চলছে। ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে বেনাপুল, পেট্রাপোলের মতো এই বন্দরের সুবিধা আরও বাড়ানো হবে।’
ট্যুরিস্ট ভিসা কবে নাগাদ চালু হবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটা করোনা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে। বর্তমানে টুরিস্ট ভিসা ছাড়া সবধরনের ভিসা চালু আছে। দুই দেশের মধ্যে বিমান চলাচলও শুরু হয়েছে। কোভিড পরিস্থিতির আরও উন্নতি হলে দুই দেশের যাত্রীদের সুবিধা হবে।’
এর আগে ভারতীয় হাইকমিশনার সড়কপথে ঢাকা থেকে বেলা ১টায় আখাউড়া স্থলবন্দরে এসে পৌঁছেন। এসময় তাকে স্বাগত জানান আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কসবা সার্কেল) নাজমুল হাসান, আখাউড়া থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান, ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ মো. আব্দুল হামিদ প্রমুখ।
হাইকমিশনার দুই দিনের জন্য ভারতে গেছেন। তিনি আসাম যাবেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
(ঢাকাটাইমস/০৮সেপ্টেম্বর/জেবি)

মন্তব্য করুন