তাড়াশে কাজ ফেলে ঠিকাদার লাপাত্তা, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ-বারুহাস আঞ্চলিক সড়কের প্রতিদিন হাজারো মানুষের যাতায়াত। এ সড়কটি এ অঞ্চলের খুবই গুরুত্ববহন করে। দীঘদিন পর এ সড়কটি মেরামতের দরপত্র আহ্বান করার পর র্দীর্ঘশ্বাস ফেলে এ অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ। কিন্ত তাড়াশ-বারুহাস সড়কের কাজটি শুরু হলেও মাসখানেক কাজ করার পর ঠিকাদার সড়ক মেরামত কাজ অসমাপ্ত রেখে লাপাত্তা হয়ে যান।
উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে একটি প্যাকেজে তাড়াশ-বারুহাস সড়ক ও তাড়াশ-কুন্দইল সড়কের প্রায় ১১ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে দরপত্র আহ্বান করে জেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর। পরে জুন মাসে কার্যাদেশ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাড়াশ-বারুহাস সড়কে কয়েক কিলোমিটার সড়ক খোড়াখুড়ি করে খোয়া দিয়ে ডব্লিউবিএম করেন। এরপর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ ফেলে রেখে চলে যায়।
বারুহাস গ্রামের মিজানুর রহমান মিজান বলেন, চরম সমস্যার মধ্যে আছি। তাড়াশ যাওয়া আসা খুব কষ্টকর হয়ে গেছে। একটা অচল অবস্থা বলার ভাষা নেই। আবার দেখারও কেউ নেই। আমরা এলাকার মানুষ যেন পশু পাখি! অবহেলিত এই এলাকাকে কে বাচাবে? কেউ নেই!
একই এলাকার ইমরান হোসেন বলেন, অনেক প্রতীক্ষার পর রাস্তার কাজ শুরু হলেও অজ্ঞাত কারণে কাজ বন্ধ রয়েছে। আবারো এই রাস্তার এতোটাই বেহাল দশা হয়েছে যে, সাধারণ মানুষের চলাচলে খুবই ভোগান্তি পোহাতে হয়। ১৫ মিনিটের রাস্তা পার হতে সময় লাগে ১ ঘণ্টা।
উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন জানান, গত জুন মাসে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর দরপত্র আহ্বান করার পর তাড়াশ-বারুহাস সড়কের কাজের জন্য ঠিকাদারকে প্রশাসনিক অনুমোদন দেন কার্যাদেশের। পরে ঠিকাদার নিজের প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজ শুরু করেন। মাঝপথে কাজটি থেমে যায়। কারণ, একনেক সভায় ওই সড়কের কাজটি অনুমোদন না হওয়ায় ঠিকাদার কাজ বাদ রেখে দিয়েছে। কাজও অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
(ঢাকাটাইমস/৬নভেম্বর/এলএ)