পালিত হচ্ছে শহীদ নূর হোসেন দিবস

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১০ নভেম্বর ২০২১, ০৯:১০| আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২১, ১১:০৯
অ- অ+
ফাইল ছবি

আজ ১০ নভেম্বর। শহীদ নূর হোসেন দিবস। ১৯৮৭ সালের এদিনে যুবলীগ নেতা নূর হোসেনের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল ঢাকার রাজপথ। নূর হোসেনের এই আত্মত্যাগ তৎকালীন স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনকে বেগবান করেছিল।

দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সকাল ৮টায় রাজধানীর গুলিস্তানে শহীদ নূর হোসেন স্কয়ারে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ১০ নভেম্বর এক গুরুত্বপূর্ণ দিন। ১৯৮৭ সালের এই দিনে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের সাহসী সৈনিক নূর হোসেন ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তিপাক’ এই শ্লোগান শরীরে ধারণ করে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন। সেদিন প্রতিবাদের পুরোভাগে থাকা শহীদ নূর হোসেনের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল ঢাকার রাজপথ। তিনি শহীদ নূর হোসেন দিবসে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন নূর হোসেনসহ গণতন্ত্রের জন্য আত্মোৎসর্গকারী সকল শহীদকে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এই আন্দোলন-সংগ্রামে আরো নাম না জানা অনেকে আত্মাহুতি দিয়েছিলেন। অব্যাহত লড়াই-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর অবশেষে স্বৈরশাসকের পতনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়। জনগণ ফিরে পায় ভোট ও ভাতের অধিকার। তিনি নূর হোসেনসহ সব শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।

১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর সচিবালয়ের সামনে ১৫ দল, ৭ দল ও ৫ দলের অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি ছিল। সেই কর্মসূচির সাথে সম্পৃক্ত ছাত্র সংগঠনগুলোর সমর্থনে অবস্থান ধর্মঘট ঘেরাও কর্মসূচিতে রূপ লাভ করে। স্বৈরশাসকের সকল বাধাকে উপেক্ষা করে ১০ নভেম্বর সকাল থেকেই সচিবালয়ের চারদিকে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার মিছিল সমবেত হয়। তখন তোপখানা রোডের মুখে পুলিশ বক্স পেরিয়ে শুরু হয় নূর হোসেনদের সাহসী মিছিল, সাহসী যুবক উদাম গায়ে লিখেছিল ‘গণতন্ত্র মুক্তিপাক-স্বৈরাচার নিপাত যাক’।

সমাবেশ শুরুর সাথে সাথে শুরু হয় পুলিশের বেধড়ক লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ। পল্টন তখন রণক্ষেত্র। এরই মধ্যে খবর আসে পুলিশের গুলিবর্ষণে শহীদ হয়েছেন নূর হোসেন। আহত হয়েছেন অসংখ্য। নূর হোসেনের আত্মদানের মাধ্যমে সেদিন গণতন্ত্রের নতুন সংগ্রাম শুরু হয় । সেই সংগ্রামের ধারায় ১৯৯০ সালের ৪ ডিসেম্বর স্বৈরাচারী শাসক পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে শহীদ নূর হোসেন দিবস যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে পালনের জন্য আওয়ামী লীগের সব সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/১০নভেম্বর/জেবি)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
চট্টগ্রাম বন্দরে রবি'র ৫-জি প্রযুক্তির সেবা প্রদানে সমীক্ষা যাচাই করবে এক্সেনটেক
গাজায় আল জাজিরার ৫ সাংবাদিককে হত্যা করল ইসরায়েল
ঢাকায় তাপমাত্রা বাড়তে পারে, শুষ্ক থাকবে আবহাওয়া
হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে যাত্রী চলাচল নির্বিঘ্নে ৫ নির্দেশনা
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা