সংলাপে অংশ নিচ্ছে না চরমোনাই পীরের দলও

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০১ জানুয়ারি ২০২২, ১৬:১৯ | প্রকাশিত : ০১ জানুয়ারি ২০২২, ১৪:৩২

বিএনপি, গণফোরাম ও কয়েকটি বাম দলের পর এবার নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির ডাকা সংলাপে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

শনিবার সকালে দলের পুরানা পল্টন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম।

চরমোনাই পীর বলেন, ‘দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপ নিয়ে দেশের চিন্তাশীল মহল, রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং সাধারণ জনগণের মাঝে আমরা কোনো আগ্রই দেখতে পাচ্ছি না। বরং জনগণ মনে করছে, রাষ্ট্রপতির সংলাপে ফলপ্রসূ কিছু হবে না। অতীতের দুটি সংলাপ যেমন জনপ্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে, চলমান সংলাপেও এর ব্যতিক্রম কিছু হবে বলে জনগণ মনে করে না। অতএব, জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে গিয়ে এমন একটি আবেদনহীন ও তাৎপর্যহীন সংলাপে অংশ নেওয়াটা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সঙ্গত মনে করে না।’

রেজাউল করিম বলেন, ‘আমরা ২০১২ ও ২০১৭ সালের সংলাপে অংশ নিয়েছিলাম। কিন্তু তিক্ত সত্য হলো, আমরা চরমভাবে হতাশ হয়েছি। ২০১২ এর সংলাপে গঠিত নির্বাচন কমিশন ২০১৪ সালে ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে এক তরফা নির্বাচনের আয়োজন করেছে, যেখানে ১৫৩ জন এমপিকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী দেখানো হয়েছে। আর ২০১৭ এর সংলাপের পর গঠিত কমিশন ২০১৮ সালে একটি চরম বিতর্কিত ও অগ্রহণযোগ্য নির্বাচন করেছে। যাকে অনেকেই মধ্যরাতের নির্বাচন বলে আখ্যায়িত করে থাকে। এই দুই জাতীয় নির্বাচন এতটাই বিতর্কিত ও জালিয়াতিতে পূর্ণ যে, তা জাতি হিসেবে আমাদেরকে চরম হতাশ, বিব্রত ও লজ্জিত করেছে।’

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, ‘হতাশাজনক ব্যাপার হলো, এই ইসির নিয়োগকর্তা রাষ্ট্রপতি এসব কলঙ্কময় নির্বাচনের দায়ে তারই গঠিত কমিশনকে কোনো রকম জবাবদিহিতার আওতায় আনেননি, কোনো রকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। ফলে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপকে আমাদের কাছে অর্থহীন বলে মনে হয়।’

চরমোনাই পীর বলেন, ‘রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবে রাষ্ট্রপতি একটি ফলপ্রসূ সংলাপের উদ্যোগ নিতে পারেন। জনগণের আকাঙ্ক্ষার আলোকে এমন একটি সংলাপ হলে, তাতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ অবশ্যই অংশ নেবে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য খন্দকার গোলাম মাওলা, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, কেএ আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা খলিলুর রহমান, জি.এম. রুহুল আমীন, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান শেখ, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম প্রমুখ।

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ গত ২০ ডিসেম্বর থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ বেশ কয়েকটি দল সংলাপে অংশ নিয়েছে। আরও কয়েকটি দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় ৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়।

এর আগে বিএনপি, কয়েকটি বাম দল, গণফোরামের একাংশ সংলাপে অংশ নেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/০১জানুয়ারি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

কেরানীগঞ্জে আ.লীগের নির্বাচনি প্রচারে যুবদলের নেতারা!

বিএনপির আরও তিন নেতা বহিষ্কার

জেল-জুলুমের ভয় দেখিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমানো যাবে না: সালাম

রাজধানীতে যুবদলের প্রতিবাদ সমাবেশ ১১ মে

৭৫ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

আ.লীগ জনগণকে কবরস্থ ক‌রে ক্ষমতা দখলে রাখতে চায়: রিজভী

বাংলাদেশ ও ভারত ভবিষ্যৎ বিশ্বে নানা ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেবে: ড. সেলিম মাহমুদ

রাজনৈতিক দলগুলো কথা বন্ধ রাখলে গণতন্ত্র পিছিয়ে পড়বে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পতাকা ওড়ানোসহ ছাত্রলীগের একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা

একদলীয় শাসনে বাংলাদেশে আজ মুক্ত গণমাধ্যম অনুপস্থিত: মঈন খান

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :