নেত্রকোণায় এক বছরে ২৬১টি অস্বাভাবিক মৃত্যু

গোলাম কিবরিয়া সোহেল, নেত্রকোণা
  প্রকাশিত : ১১ জানুয়ারি ২০২২, ১২:৫৬
অ- অ+

২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত গত ১ বছরে নেত্রকোণা জেলায় ২৬১টি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বেশিরভাগ অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে সড়ক দুর্ঘটনায়। এ ধরনের দুর্ঘটনা ক্রমশ বাড়তে থাকায় জনমনে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাও বাড়ছে। এছাড়াও অস্বাভাবিক মৃত্যুর মধ্যে রয়েছে হত্যা, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা, বিষপানে আত্মহত্যা, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু ও পানিতে ডুবে মৃত্যু।

বিশ্লেষকদের মতে অস্বাভাবিক মৃত্যুর সংখ্যা সরকারি হিসাবের চেয়েও অনেক বেশি। কারণ অনেক সময় নিভৃতপল্লী এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনা, পানিতে ডুবে মৃত্যু, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কেউ মারা গেলে সরকারি হিসাবে নথিভুক্ত হয় না। পুলিশি হয়রানি কিংবা ময়নাতদন্তে কাটা-ছেঁড়ার ভয়ে প্রশাসনকে না জানিয়ে অথবা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি স্বাপেক্ষে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করায় এসব ঘটনা হিসাবের বাইরে থেকে যায়।

নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতাল সূত্র মতে, নেত্রকোণা জেলায় ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে ১১টি, ফেব্রুয়ারি মাসে ১২টি, মার্চ মাসে ২৮টি, এপ্রিল মাসে ২১টি, মে মাসে ২৫টি, জুন মাসে ২৩টি, জুলাই মাসে ২৭টি, আগস্ট মাসে ২৯টি, সেপ্টেম্বর মাসে ৩০টি, আক্টোবর মাসে ১৬টি, নভেম্বর মাসে ২০টি ও ডিসেম্বর মাসে ১৯টিসহ মোট ২৬১টি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

‘নিরাপদ সড়ক চাই’ নেত্রকোণা জেলা শাখার সদস্য সাংবাদিক আলপনা বেগম বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করতে হলে সবার আগে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ, জেলা পরিবহন মালিক সমিতি ও জেলা মোটরযান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের উদ্যোগে সব ধরনের যানবাহন চালকদেরকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ গাড়ি চালক তৈরি করার পাশাপাশি রাস্তায় কিভাবে গাড়ি চালাতে হয় সেসব নিয়ম কানুন সম্পর্কে তাদেরকে সচেতন করতে হবে।

অপ্রাপ্ত বয়স্ক, অদক্ষ এবং মাদকাসক্ত অবস্থায় কেউ যেন গাড়ি না চালায় এবং ট্রাফিক আইন যাতে সবাই মেনে চলে তার জন্য ট্রাফিক বিভাগকে আরও সততা ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।

নেত্রকোণা বিআরটিএর সহকারী পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোবারক হোসেন বলেন, আমরা বাস ট্রাক চালকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাসহ চালক হেলপার ও পথচারীদেরকে স্ব স্ব স্থান থেকে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছি।

পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করতে নিরাপদ আইন বাস্তবায়নে আমরা পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়াও পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ ও ট্রাফিক আইন মেনে চলতে চালক, চালকের সহকারী ও পথচারীদের মাঝে ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

পুলিশ বিভাগ সড়ক দুর্ঘটনার পরপরই মামলা নিচ্ছে এবং অভিযুক্ত চালকদেরকে গ্রেপ্তার করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/১১জানুয়ারি/কেএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
২০৩০ সালের মধ্যে ১৫০ পৌরসভায় শেষ হবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ: অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী
উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মাথায় বোতল মারল কে?
কিছু ঘটলেই যমুনায় যাওয়ার প্রবণতা সহ্য করা হবে না: উপদেষ্টা মাহফুজ 
সিলেট থেকে ৪১৮ যাত্রী নিয়ে মদিনায় গেল প্রথম হজ ফ্লাইট
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা