শাবিপ্রবিতে হামলার প্রতিবাদে খুবিতে মানববন্ধন
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) শিক্ষার্থীরা। সোমবার দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদী চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির আন্দোলনে চাপ প্রয়োগ করে কোনোদিন দমিয়ে রাখা যায়নি। শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ওপর যে ন্যাক্কারজনক হামলা চালানো হয়েছে তা নিঃসন্দেহে নিন্দনীয়। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে একক ক্ষমতা প্রদর্শনের সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে তা আমাদের জন্য আশঙ্কা ও ভয়ের।
বাংলা ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী সাধন মণ্ডল বলেন, শনিবার শাবিপ্রবি প্রশাসন তাদের নিজস্ব ক্ষমতার অপব্যবহার করে যে ন্যাক্যারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে- তা জাতি হিসেবে ছাত্রসমাজের জন্য আরেকটি বিভীষিকাময় দৃষ্টান্ত হয়ে গেল। আমরা দেখেছি, কিছুদিন আগে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়েও রাতের আধারে পাকিস্তানি জান্তাদের মত হামলা চালানো হয়। প্রত্যেকটি মানুষের সাংবিধানিক অধিকার আছে কথা বলার, অন্যায়ের প্রতিবাদ করার। কিন্তু সেখানে কেন প্রতিনিয়ত এত আঘাত? একজন ভিসি হবেন শিক্ষার্থীবান্ধব, ক্যাম্পাস হবে নিরাপদ ও মুক্ত জ্ঞানচর্চার স্থান। কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছরেও ছাত্রদের কেন এ পরিস্থিতি দেখতে হবে? এরপরে দেশের আর কোনো প্রান্তে শিক্ষার্থী নিপীড়িত হলে সবাই একসাথে হয়ে রাজপথে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। আমরা এখানে (খুবিতে) হয়তো পেটোয়া বাহিনী নির্যাতিত হইনি, কিন্তু বিভিন্ন সময়ে নানাভাবে হেনস্তার শিকার হয়েছি। আমরা এ মানববন্ধন থেকে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের সকল দাবির সাথে সংহতি জানাচ্ছি এবং তাদের পাশে আছি।
উল্লেখ্য, প্রভোস্টের পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা শনিবার ভিসি প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে ভিসিকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত করতে টিয়ারগ্যাস ও ফাঁকা গুলি নিক্ষেপ করে পুলিশ। পরবর্তীতে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে অর্ধশত শিক্ষার্থী ও পুলিশ সদস্যরা আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনার পর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলে এটি ভিসি পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়। সর্বশেষ তথ্য পাওয়া পর্যন্ত ভিসির বাসভবন ঘেরাও করে আন্দোলন করছেন ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
(ঢাকাটাইমস/১৭জানুয়ারি/এলএ)