মাগুরায় পোল্ট্রি শিল্পে ব্যবহার হচ্ছে মানুষের ওষুধ!

আব্দুল আজিজ, মাগুরা
| আপডেট : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২২:৩৪ | প্রকাশিত : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২২:৩১

মাগুরায় মাংসের জন্য বাণিজ্যিকভাবে লালন-পালন করা ব্রয়লার এবং সোনালি মুরগি পালন করতে হরহামেশাই ব্যবহার করা হচ্ছে মানুষের ওষুধ। বিশেষ করে মুরগির তাপমাত্রা বাড়লে প্যারাসিটামল, ঠাণ্ডার লক্ষণ হলে সিপ্রোফ্লক্সাসিন, কাশির সমস্যায় এমব্রোক্সল হাইড্রোক্লোরাইড, কিডনি সমস্যা হলে এলোপুরিনল গ্রুপের ওষুধ ব্যবহার করা হয়। এছাড়া ভিটামিন সি, ওরস্যালাইন ও গ্লুকোজ কোন ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই সাধারণ ডিসপেনসারি থেকে কিনে ইচ্ছা স্বাধীন মতো মাংস জাতীয় মুরগির একদিনের বাচ্চা থেকে শুরু করে পূর্ণ্ বয়স্ক মুরগির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এমন ওষুধ ব্যবহারকারী মুরগির মাংস খেয়ে মানুষের শরীরে ওষুধ ব্যবহারের কার্যকারিতা হারিয়ে যাচ্ছে।

রায়হান নামে এক খামারি জানান, আমরা আগে যে ওষুধ দিতাম তাতে কাজ হতো । কিন্তু ইদানীং এক ওষুধ আনলে কাজ হয় না। এক ডোজের পর আবার এক ডোজ দেয়া লাগে। দেখা যাচ্ছে সে ডোজের পর আবারো এক ডোজ দেয়া লাগে। যার কারনে ওষুধের খরচ অনেক বেশি। কিন্তু মুরগি বিক্রি করতে গেলে, খরচ অনুপাতে দাম পাই না । যার কারণেই খরচ কমানোর জন্যই মানুষের ওষুধ ব্যবহার করি।

মিলটন নামে এক খামারি জানান, পোল্ট্রি ওষুধদের দাম বেশি হলেও গুণগত মান ঠিক না থাকায় তারা মানুষের ওষুধ ব্যবহারের দিকে বেশি ঝুঁকে পড়ছে। ফলে একদিকে সাশ্রয় হচ্ছে এবং রোগবালাই সারাতে কাজও বেশি হচ্ছে।

সাজ্জাদ হোসেন নামে এক মুরগি বিক্রেতা জানান, আমরা যারা রেডি পোল্ট্রি মুরগি বিক্রি করি, তারা তো জানে না। মুরগিকে কী খাবার বা কী ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছে। তবে শুনেছি পোল্টি মুরগিকে মানুষের ওষুধ খাওয়ানো হয়।

ইমরান হোসেন নামে এক ক্রেতা জানান , মানুষের ওষুধ মুরগিতে ব্যবহার হচ্ছে জানি। যা মোটেই ঠিক নয়। আমরা তো জানি না, কোনটা আসল-কোনটা ভেজাল। যাদের ভাল মন্দ দেখার দায়িত্ব তারা তো দেখে না । ফলে বাধ্য হয়ে আমরা এই মাংসই কিনে খাই।

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাদিউজ্জামান জানান, পোল্ট্রি শিল্পে ব্যবহৃত ওষুধের গুণগত মান ঠিক না থাকায় খামারিরা বিকল্প হিসেবে মানুষের ওষুধ ব্যবহার করছে। যথা নিয়মে ওষুধ প্রয়োগ হলে স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্ভাবনা হ্রাস পাবে। খামারিরা যাতে উপযুক্ত ব্যবস্থাপত্র দিয়ে ওষুধ ব্যবহার করে সে সম্পর্কে তাদেরকে উৎসাহিত করা হবে।

মাগুরা জেলায় ৮৪টি লেয়ার খামার এবং প্রায় ৯০০টি মাংস উপাদনের খামার রয়েছে। এসব খামারে ১ কোটি ২১ লাখ ৯৭১টি মুরগি রয়েছে। প্রতিমাসে প্রায় ৪ লাখ মুরগির মাংসের জন্য বাজার জাত করা হয়। এসব মুরগি মাগুরা জেলার সাড়ে ১০ লাখ জনসংখ্যার চাহিদা মিটিয়ে, জেলার বাইরে পাঠানো হয়।

(ঢাকাটাইমস/ ৯ফেব্রুয়ারি/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

সুবর্ণচরে এমপিপুত্র শাবাব বিজয়ী

নড়িয়ায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা, ইউপি চেয়ারম্যানসহ আহত ৩

কুমিল্লার তিন উপজেলায় দুই নতুন মুখ, লাকসামে ইউনুসের হ্যাট্রিক

বান্দরবান সদরে আ.লীগ নেতাকে হারিয়ে বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা কুদ্দুস বিজয়ী

ভোট দিলেন কেরানীগঞ্জের বিএনপি নেতা, ফাঁকা ছিল বেশিরভাগ কেন্দ্র

গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী হলেন যারা

ফরিদপুরে চেয়ারম্যান পদে তিন উপজেলায় যারা নির্বাচিত হলেন

হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত: ঝিনাইদহ-১ আসনে নির্বাচনে বাধা নেই

রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিকর্ম বাঙালিকে আলোর পথ দেখায়: পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী

কুমিল্লায় ট্রান্সফর্মার চোর চক্রের সদস্য গ্রেপ্তার

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :