ড. নেয়ামত ভূঁইয়ার তিনটি কবিতা

প্রশ্ন সহজিয়া
—————
সে আকাশ কেমন আকাশ; নিকষ কালো মেঘ জমে রয়!
যুগের পরে যুগ চলে যায়; হয় না অরুণ সূর্য উদয়।
সে প্রিতম কেমন প্রিতম; নিত্য যে রয় আত্মভোলা!
সে নদী কেমন নদী; যার বুকে নেই ঢেউয়ের দোলা।
সে ফাগুন কেমন ফাগুন; যেই ফাগুনে ফুল ফোটে না!
সে স্বদেশ কেমন স্বদেশ; যেই স্বদেশে ভাত জোটে না।
সে আগুন কেমন আগুন; পোড়ায় কেবল প্রেমীর হৃদয়!
পুড়ে পুড়ে ছাই হলেও আগুন তবু হয় না সদয়।
সে জীবন কেমন জীবন; বন্দি কেবল শ্বাসের খেলায়,
সার্থকতার মুখ না দেখেই হতাশাতে আয়ু ফুরায়!
-
২.
জীবন-নদী
—————
এই যে জীবনকে নিয়ে মানুষ মেতে আছে
এত কসরতে, বোধ করে এতো বিপন্নতা,
মানুষ কি আসলে তা জানে, এর কী বা মানে,
কোথা এর রহস্যময়তা?
জীবনের গতিতে মানুষ এই যে ঘোরের মাঝে
জীবনকে চালিয়ে যায়,
সে কি জানে কোথা তার গন্তব্য,
ছুটছে সে কোন ঠিকানায়?
সব যদি জানা হয়ে যায়,
তবে আর রহস্যের মূল্য কি থাকে!
তাইতো জীবন-নদী মিলে না মোহনায়
সে কেবল চলে বাঁকে বাঁকে।
_
৩.
জলাধার
———
পৃথিবীর তিন ভাগ জল, এক ভাগ স্থল,
বিশাল জলধির এই- যে এতো বিপুল আয়োজন,
তারপরও
করমচার মতো ছোট্ট দুটি চোখের জলের কুঠুরির
কী-বা প্রয়োজন?
দেখার সুখের চেয়েও জল ঝরিয়ে যেন এরা
বেশি সুখ পায়,
অশ্রুর প্রতি বিন্দু শেষে কি হারিয়ে যায়
সিন্ধুর অথৈ ধারায়?
সংবাদটি শেয়ার করুন
ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
ভাষা ও সাহিত্য এর সর্বশেষ

কাজী নজরুল ছিলেন মানবজাতির কবি: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

আজ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মবার্ষিকী

নিজেকে খুঁজি

‘এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ’ এক ধারাবাহিক উত্তরণের লেখচিত্র

প্রেম: দান্তে-বিয়াত্রিচে

ঘোর কাটে না গোর অবধি

আনন্দবাদী রবীন্দ্রনাথ ও শান্তিনিকেতন

মা’র আশিসের শীতল-ছায়া

সংকট মোচন
