রাজনীতিতে হঠাৎ যেভাবে আলোচনায় ইশরাক

বিএনপির প্রয়াত ডাকসাইটে নেতা, অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার উত্তরসূরী তিনি। উচ্চশিক্ষা নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। প্রকৌশল বিদ্যায়। রাজনীতিক বাবার সন্তান হিসেবে নাম লিখেছেন রাজনীতিতে। লড়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মেয়র পদেও। পুরোদস্তুর রাজনীতিক হিসেবেই মাঠে আছেন বিএনপির তরুণ নেতা ইশরাক হোসেন।
রাজনীতিতে আসার পর একাধিক মামলার আসামি হয়েছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন। বুধবার প্রথম গ্রেপ্তার হন তিনি। রাজধানীর মতিঝিলে শ্রমিক দলের পক্ষ থেকে লিফলেট বিতরণের সময় তাকে আটক করে মতিঝিল থানা পুলিশ। পরে তাকে গাড়ি ভাঙচুরের পুরানো মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
রাজনৈতিক পরিবারে বেড়ে উঠলেও ২০১৯ সালের আগে রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না খোকাপুত্র। তবে তিনি দাবি করেন, রাজনীতির বাইরে ছিলেন না কখনো। দীর্ঘদিন কর্কট রোগের সঙ্গে সঙ্গে লড়াই করে বাবা সাদেক হোসেন খোকা চিরবিদায় নেন ২০১৯ সালের নভেম্বরে। তারপর থেকে রাজনীতির মাঠে মুখ চেনান তিনি।
'ফুলটাইম' রাজনীতিক হিসেবে বাবার রেখে যাওয়া জায়গায় কাজ শুরু করেন ইশরাক হোসেন। মাঝে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী হিসেবে লড়াই করেন তিনি। ভোটে বিজয়ী হতে না পারলেও বেশ সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়েছিলেন তরুণ এই রাজনীতিক।
ইশরাক হোসেন ঢাকার স্কলাস্টিকা স্কুল থেকে ‘এ’ এবং ‘ও’ লেভেল পাস করার পর যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব হার্টফোর্ডশায়ারে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে শীর্ষ পদে আসতে পারেন এমন আলোচনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত পাননি। তবে আব্দুস সালাম-রফিকুল ইসলাম মজনুর কমিটিতে তাকে এক নম্বর সদস্য করা হয়। যদিও ইশরাক নানা সময় দাবি করেছেন, তিনি রাজনীতির বাইরে কখনো ছিলেন না।
এদিকে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার পর বিএনপির তৃনমূল নেতাকর্মীদের মাঝেও বেশ সাড়া ফেলেছেন ইশরাক। ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্নস্থানে দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে গেলে ইশরাককে ঘিরে নেতাকর্মীদের ভিড় নজরকারে সবার।
অন্যদিকে জাতীয় প্রেসক্লাবে দলীয় কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিচার্জের মুখে দাঁড়িয়ে নেতাকর্মীদের রক্ষা করার ঘটনায় বেশ প্রশংসিত হয়েছিলেন অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়রপুত্র।
রাজনীতিতে আসার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে শুরুর দিকে ইশরাক গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে, রাজনৈতিক পরিববারের সদস্য হিসেবে নগরবাসী, এলাকাবাসী ও দেশবাসীর প্রতি একটি দায়বদ্ধতা রয়েছে। সেই দায়বদ্ধতার কারণে ছোটবেলা থেকেই আমি রাজনীতিতে আসার বিষয়ে উদ্বুদ্ধ ছিলাম এবং সবসময় রাজনৈতিকভাবে সচেতন ছিলাম, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির সবসময় খোঁজখবর রেখেছি, বিশ্লেষণ করেছি।’
অসুস্থ বাবার পাশে থাকার সময় বাংলাদেশের ইতিহাস, ঢাকার ভবিষ্যৎ নিয়ে সবসময় আলাপ-আলোচনা করার কথাও বলেছেন ইশরাক।
গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রাক্কালে নিজের স্বপ্ন নিয়ে বলেছিলেন, ‘বাবার অসমাপ্ত কাজগুলো করতে চাই।’ এজন্য অসমাপ্ত কাজ তথ্য সেলের মাধ্যমে সংগ্রহ করেছেন এই প্রকৌশলী।
ঢাকাটাইমস/০৬ এপ্রিল/বিইউ/এইচএফ

মন্তব্য করুন