‘অবিশ্বাস্যভাবে দুই সন্তানসহ বেঁচে আছি’

রাজধানীর মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার থেকে নামার পথে বেপরোয়া গতির একটি অ্যাম্বেুলেন্সের আঘাতে দুমড়ে-মুচড়ে গেছে অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজের প্লানিং এডিটর মনিরুজ্জামান উজ্জ্বলের প্রাইভেট কার। অল্পের জন্য মৃত্যুর মুখ থেকে দুই সন্তানসহ বেঁচে ফিরেছেন এই সাংবাদিক। দুর্ঘটনার সময় সন্তানদের নিয়ে নরসিংদী থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন তিনি।
সোমবার (১১ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৪টায় মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া প্রাইভেটকারে ছবি দিয়ে নিজের ফেসবুক ওয়ালে উজ্জল একটি পোস্ট দিয়ে লিখেছেন, ‘অবিশ্বাস্যভাবে দুই সন্তানসহ বেঁচে আছি’
দুর্ঘটনার বর্ণনা দিয়ে উজ্জ্বল বলেন, ‘হঠাৎ ভূমিকম্পের মতো গাড়িতে তীব্র ঝাঁকুনি। পেছনের সিটে বসে থাকা ছেলেমেয়ের আর্তচিৎকার। গাড়ির গ্লাস ভেঙ্গে চুরমার। সামনে ও পেছনে দুমড়ে মুচড়ে একাকার। ঘটনার আকস্মিকতায় হতবিহবল হয়ে পেছনে তাকিয়ে দেখি ছেলেমেয়েরা ভয়ে তর তর করে কাঁপছে। তখনও বিশ্বাস হচ্ছিলনা যে সকলেই অক্ষত রয়েছি। আল্লাহর দরবারে হাজারো শুকরিয়া।
গতকাল (সোমবার) বিকেলে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট অভিমুখে নামার পথে দ্রুতগামী অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার পেছন থেকে দ্রুতবেগে গাড়িতে সজোরে আঘাত করলে গাড়িটি সামনে পেছনে দুমড়ে মুচড়ে যায়। সৌভাগ্যেক্রমে দুইসন্তানসহ অবিশ্বাস্যভাবে বেঁচে যাই। তবে ট্রমা এখনও কাটেনি।’
দুর্ঘটনার কারণ জানিয়ে উজ্জ্বল ফেসবুকে লেখেন, ‘যে উঠতি বয়সি তরুণ অ্যাম্বুলেন্সটি চালাচ্ছিল তার ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। গাড়ির কাগজপত্রও ঠিক নেই। অ্যাম্বুলেন্সটি আটক করে মালিককে খবর পাঠালে সে এসে গাড়ির অবস্থা দেখে হতবাক হয়ে যায় ও দুঃখ প্রকাশ করে।’
‘জানা যায় ওই অ্যাম্বুলেন্সের চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির কোনো কাগজপত্র ছিল না। এ সব অনিয়ম দেখার দায়িত্ব আসলে কার? সন্তানসহ আমি মারা গেলে নিছক দুর্ঘটনা বলেই কি এরা পার পেয়ে যেতো? এভাবে আর কতকাল চলবে?’
(ঢাকাটাইমস/১২জুলাই/কেআর/কেএম)

মন্তব্য করুন