জি কে শামীমের অস্ত্র মামলার রায় আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২:০৮ | প্রকাশিত : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:০১

রাজধানীর গুলশান থানায় বিতর্কিত ঠিকাদার এসএম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে করা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ রবিবার।

এদিন দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ ছামিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করবেন।

জি কে শামীমসহ তার সাত দেহরক্ষীর সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করেছেন রাষ্ট্রপক্ষ।

রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর সালাহউদ্দিন হাওলাদার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলার রায় রবিবার দুপুর ১২টার দিকে ঘোষণা করা হবে। এ মামলায় আমরা আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করছি। অস্ত্র মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। তবে আসামিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে করা মামলার পৃথক তিন ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। জি কে শামীমের বিরুদ্ধে বৈধ অস্ত্র অবৈধ প্রদর্শনের অভিযোগ আনা হয়েছে। যার সর্বোচ্চ শাস্তি সাত বছরের কারাদণ্ড।’

তবে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়নি। রায়ে তারা খালাস পাবেন।

এর আগে ২৮ আগস্ট মামলাটির যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ ছামিদুল ইসলাম রায় ঘোষণার এ তারিখ ঠিক করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মো. জাহিদুল ইসালাম, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন, মো. আমিনুল ইসলাম, মো. দেলোয়ার হোসেন ও মো. মুরাদ হোসেন। এরা জি কে শামীমের দেহরক্ষী।

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের মধ্যে ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতনে শামীমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় র‌্যাব। সেখান থেকে নগদ এক কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা, ৯ হাজার ইউএস ডলার, ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার ১০টি এফডিআর, ৩২টি ব্যাংক হিসাবের চেক বই, আটটি আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ পাওয়ার কথা বলা হয় র‌্যাবের পক্ষ থেকে।

একসময়ের যুবদল নেতা জি কে শামীম ক্ষমতার পরিবর্তনে বনে যান কেন্দ্রীয় যুবলীগের নেতা। রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত তিনি। গণপূর্ত ভবনের বেশির ভাগ ঠিকাদারি কাজই তার নিয়ন্ত্রণে ছিল।

জি কে শামীম গ্রেপ্তারের পর তার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জি কে বিল্ডার্সের হাতে থাকা সরকারি প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার ২২টি নির্মাণ প্রকল্পের কার্যাদেশ বাতিল করা হয়। তার বিরুদ্ধে অর্থপাচার এবং অস্ত্র ও মাদক আইনে তিনটি মামলা হয়েছে। সবকটি মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে আদালতে। বর্তমানে মামলাগুলো বিচারাধীন। সাতজন সশস্ত্র দেহরক্ষী নিয়ে চলাফেরা করা জি কে শামীম কাকে কাকে নিয়মিত চাঁদা দিতেন জিজ্ঞাসাবাদে সেসব তথ্য দিয়েছেন বলে তদন্ত সূত্রে জানা গেছে।

(ঢাকাটাইমস/২৫সেপ্টেম্বর/এমআই/এফএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

সাবেক সচিব প্রশান্ত কুমারকে কারাগারে পাঠালেন আদালত

৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম

বিচারপতির আসনে ছাদ বেয়ে পানি, বিচারকাজ বন্ধ ১৮ মিনিট

আগাম জামিন পেলেন অ্যাডভোকেট যুথিসহ চার আইনজীবী

জামিন নিতে এসে রায় শুনে পালিয়ে গেলেন হলমার্ক কেলেঙ্কারির আসামি

তিন মাসের মধ্যে সালাম মুর্শেদীকে গুলশানের বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ

হলমার্ক কেলেঙ্কারি: তানভীর ও তার স্ত্রীসহ নয়জনের যাবজ্জীবন

সুপ্রিম কোর্ট বারে মারামারি: নাহিদ সুলতানা যুথীর জামিন শুনতে নতুন বেঞ্চ নির্ধারণ

পি কে হালদারের ১৩ সহযোগীর সাজা বাড়ানোর আবেদন দুদকের

ড. ইউনূসের সাজা ও দণ্ড স্থগিতের আদেশ হাইকোর্টে বাতিল

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :